বন্দরে আড়াই বছরের এক  শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এ ঘটনায় শিশুটির সৎ পিতা  ইসলাম মিয়া (২৩) ও  নানা আক্তার হোসেন (৫০) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।  

গ্রেপ্তারকৃত সৎ পিতা ইসলাম মিয়া বন্দর থানার নবীগঞ্জ কুশিয়ারা এলাকার মোঃ ইমরান মিয়ার ছেলে ও নানা  আক্তার হোসেন ফতুল্লা থানার লামাপাড়া শিবু মার্কেট এলাকার মৃত আলমাস মিয়ার ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের  আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে শিশুর বাবা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

শিশুটির বাবা জানান, তিনি চার বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এক মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর বন্দরের নবীগঞ্জ কুশিয়ারা এলাকার ইমরান মিয়ার ছেলে মো.

ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রীর  দ্বিতীয় বিয়ে হয়। 

তার আড়াই বছর বয়সের মেয়েটি মায়ের সঙ্গে কুশিয়ারা সৎ বাবার বাড়িতে থাকত। বুধবার রাত দেড়টার দিকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন যে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি আক্তার হোসেন ও মো. ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল

গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।

কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।

মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ