ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের ছুরিকাঘাতে সুরুজ মিয়া আহত, আটক ১
Published: 24th, April 2025 GMT
ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের বিরুদ্ধে ট্রাক লুটের প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে রাম দা ছুরিসহ ফাহিম নামে ওই গ্রুপের একজনকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানাযায়, বুধবার রাতে কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের রিয়াজ দলবল নিয়ে ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় একটি নির্মানাধীন ভবনের সামনে থেকে পাথর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ট্রাক চালকের ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এগিয়ে আসে।
এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা ট্রাক ছেড়ে দিয়ে উপস্থিত লোকজনদের চলে যেতে বলেন নয়তো কুপিয়ে সবাইকে টুকরো করে হত্যার হুমকি দেয়। তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে সুরুজ মিয়া নামে একজন প্রতিবাদ করেন। এতে সন্ত্রাসীরা তার উপর ফুঁেস উঠে এলোপাথারী মারধর করে মাথায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন।
তখন এলাকাবাসী তাদের ধাওয়ার করে একজনকে রাম দা ও ছুরিসহ আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর আটককৃতকে গুপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন এবং আহত সুরুজ মিয়াকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, জিনিয়াস গ্রুপের লিডার রিয়াজ তার সহযোগী শুভ, হাসান, সোহান, সোহাগ, বাবু, মাইন উদ্দিন, ফাহিম, জাকির ও নূর মোহাম্মদ নাঈম সহ আরো ২০/৩০ জন। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হবে।
তারা সাইনবোর্ড, মাহমুদপুর, কদমতলী, ডেমরা, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, মৌচাক ও তার আশপাশের এলাকায় ছিনতাই ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করেন প্রকাশ্যে। দীর্ঘদিন ধরে তারা অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া। কোন অপরাধেই তারা ব্যর্থ হয়না এজন্য তাদের গ্রুপের নাম রেখেছেন জিনিয়াস গ্রুপ।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন আছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাগাজীতে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি সমর্থককে হত্যা
ফেনীর সোনাগাজীতে শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে আবুল হাসেম (৫০) নামে এক বিএনপি সমর্থককে হত্যা করেছে বোরকা পরিহিত সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজীদ আকন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। রাসেল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
নিহত আবুল হাসেম সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চরদরবেশ গ্রামের আবদুর শুক্কুরের ছেলে। কয়েক বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সোনাগাজী পৌর এলাকার পশ্চিম বাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে ঋণের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা
নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর মরদহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোরকা পরিহিত ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী ওলামা বাজার এলাকায় আবুল হাসেমের পথরোধ করেন। তারা তাকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির বাম হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। সন্ত্রাসীরা আবুল হাসেমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে যান। সেখানে চিকিৎসক আবুল হাসেমকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে পাঠান।
নিহতের ভাতিজা শেখ ফরিদ জানান, তার কাকা মহিষের দুধ সংগ্রহ করতে ভোরে মোটরসাইকেলে করে সাহেবের ঘাট ব্রিজ এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওলামা বাজার এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। মৃত্যুর আগে তিনি কয়েকজন হামলাকারীর নাম বলে গেছেন। তাদের মধ্যে রাসেল নামের একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আবুল হাসেম ২০২১ সালে একই এলাকার কৃষক বেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তার পরিবারের অন্তত ১০ সদস্যকে আসামি করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং সোনাগাজীতে বসবাস শুরু করেন।
সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, “আবুল হাসেম আমাদের দলের সমর্থক ছিলেন। কোনো পদে না থাকলেও মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছি।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ