ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়,  বিভিন্ন অপকর্ম এবং চারিত্রিক স্খলনের কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়ার নির্দেশে তাঁকে প্রাথমিক সদস্য ও সব পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জানতে চাইলে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত ওই নেতাকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা বিব্রত হন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জেলা বিএনপির নজরে আনা হলে তাঁরা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স আলমগ র ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী

খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এ বি এম আলমগীর শিকদার। ২০১৬ সালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন। তবে জিততে পারেননি। ২০২১ সালে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, সেবারও পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল গঠিত ওই কমিটিতে ৫ নম্বর সদস্যের পদ পেয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৬ সালে পরবর্তী ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছর থেকেই স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন শুরু করেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পুরোপুরি বিএনপিতে ভিড়ে যান।

ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আলমগীর কবির বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। তার বাড়িতে তিন উপজেলার নেতারা দাওয়াত খেয়েছেন। তবে কমিটিতে তার নাম কে দিয়েছে আমি জানি না।

তবে সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আলমগীর আগে কখনো বিএনপির সঙ্গে ছিল না। ৫ আগস্টের পর অনেকের সঙ্গে সেও নতুন বিএনপি হয়েছে।’

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলী ইমরাজ জুয়েল বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিএনপির যারা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকেই কমিটিতে পদ পায়নি। এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।

এ ব্যাপারে এ বি এম আলমগীর শিকদার বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। একটা সিস্টেম করে নৌকা প্রতীক পাই। কিন্তু আমাকে জোর হারিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩-৪ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। এজন্য হয়তো আমাকে কমিটিতে রেখেছে।

তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওছার আলী বলেন, ভুল করে তার নাম চলে এসেছে। তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী
  • ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের পর ছাত্রলীগ-আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার
  • নিজের ‘অশ্লীল’ ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট, বহিষ্কার হলেন বিএনপি নেতা
  • পূর্ণিমার ‘অন্য রকম আমি’ আর রোমানার ‘টিউলিপ মুহূর্ত’
  • আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের তিন নেতা গ্রেপ্তার
  • ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালকদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর, পেয়েছেন যারা
  • বিএনপি বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আজ আলোচনা শেষের আশা