ন্যানো সারের উদ্ভাবক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (NAME Lab) প্রিন্সিপাল ইনভেন্টর ড. জাভেদ হোসেন খান এবং যুক্তরাষ্ট্রের জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুলাবায়োর (Kulabio) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় কুলাবায়ো যবিপ্রবির নেইম ল্যাব থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি নেবে এবং তারা তাদের জৈব প্রযুক্তি নেইম ল্যাবকে দেবে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুলাবায়োর ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইনোভেশন অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ড.

ফ্রেডরিক কেন্ডিরগি এবং ড. জাভেদ হোসেন খান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুসারে কুলাবায়ো ও নেইম ল্যাব আগামী পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করবে। 

ন্যানো সারের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান বলেছেন, আমরা মার্কিন জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুলাবায়োর সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আমাদের ন্যানো সারের প্রযুক্তি নেবে এবং তাদের জৈব প্রযুক্তি আমাদেরকে দেবে। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কুলাবায়োর কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর প্রেসিডেন্ট ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। তারা দ্রুত আমাদের ল্যাবরেটরি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন। 

ড. জাভেদ হোসেন খান সাত বছরের প্রচেষ্টায় ন্যানো ইউরিয়া তৈরি করেছেন, যা ৪ হাজার ২০০ টাকার গতানুগতিক ইউরিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২৩০ টাকা। তার গবেষণা নিবন্ধ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহু গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকা/ইমদাদুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ