পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর স্থগিত
Published: 24th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আগামী রোববার তার ঢাকা আসার কথা ছিল। সম্প্রতি কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় এ সফর স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসতে পারছেন না। সফরের পরবর্তী তারিখ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অণুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র শাহ আরিফ রহমান সমকালকে বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সফর স্থগিতের অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে তার আসন্ন ঢাকা সফর স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসার কথা ছিল পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ছিল। বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই দেশই বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল। এর আগে গত ১৭ই এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা সফর করেন। ওই সময় মন্ত্রী পর্যায়ের এ সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র প ক স ত ন র পরর ষ ট র ও পরর ষ ট রমন ত র ইসহ ক দ র ল দ শ সফর
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।