ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ভারতবাসীকে কাশ্মীরের মানুষকে শত্রু না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষেরা বেরিয়ে এসেছে। তাঁদের বক্তব্যও আপনাদের মতোই। তাঁরা এ হামলার ঘটনায় জড়িত নন, এমনকি এ হামলা কাশ্মীরের পক্ষ থেকেও হয়নি।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করে বলতে চাই, দয়া করে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের আপনাদের শত্রু মনে করবেন না। আমরা এর (হামলা) জন্য দায়ী নই। আমরাও গত ৩৫ বছর ধরে ভুক্তভোগী।’

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন—এমন খবর পাওয়ার প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এ কথাগুলো বলেন। তিনি পেহেলগামে হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ২৫ জন অতিথি ছিলেন, যাঁরা আমাদের এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। আর একজন আমাদের কাশ্মীরের বাসিন্দা, যিনি অন্যদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন হারিয়েছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ