দুদকের ফাঁদে ডিএসসিসির ওয়ার্ড সচিব ধরা
Published: 24th, April 2025 GMT
ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দুই নম্বর অঞ্চলের চার নম্বর ওয়ার্ড সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল।
গোপন ফাঁদ বসিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজ কার্যালয় থেকে ঘুষের টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ টিম। এ সময় তার কাছ থেকে ঘুষের আলামত জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
‘টাকা পাচারকারীরা শয়তানের মতো, ধরতে পারলে ছাড় নেই’
নিয়োগ দুর্নীতি-অর্থ আত্মসাৎ: সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুদকের হানা
তিনি বলেন, “অভিযুক্ত সোহেলকে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এর হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
দুদক জানায়, সবুজবাগে পূর্ব বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম নির্মাণাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালুর জন্য সিটি কর্পোরেশনের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন। আবেদনপত্র দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ত্রুটি না পেলেও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
সোহেল হুমকি দেন, ‘দাবি করা ঘুষের টাকা না দিলে তিনি কোনোভাবেই ছাড়পত্র দেবেন না।’ কুতুবউদ্দিন সোহেল আগত সব সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রদান বাবদ ঘুষ হিসেবে টাকা গ্রহণ করে থাকেন।
এ বিষয়টি তিনি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ বরাবর লিখিতভাবে জানালে দুদকের বিশেষ টিম সোহেলকে টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক ও অভিযানের টিম প্রধান মো. নাজমুস সাদাত বলেন, “কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আমরা ফাঁদ অভিযান পরিচালনা করি। ১০ হাজার টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করি। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।