রাজশাহীতে ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা ও মহানগর কমিটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. এফএম ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য রাগিব হাসান মুন্না, রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফতাম হোসেন, নগর কমিটির সদস্য রতন কুমার ভট্টাচার্য, আইয়ুব হোসেন খান, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন এবং শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।

১৯৫০ সালের এই দিনে কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে বন্দীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে সাতজন শহীদ হন। আহত হন ৩২ জন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ