মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার দ্রুত খোলার দাবি জানাল বায়রা
Published: 24th, April 2025 GMT
মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
‘বায়রার সাধারণ সদস্যবৃন্দের’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৩টি দেশ মালয়েশিয়া সরকারের শর্ত মেনে নিয়ে তাদের শ্রমবাজার চালু রেখেছে। তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। এর ফলে মালয়েশিয়ার ১২ লাখ কর্মীর বাজার বাংলাদেশের জন্য হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স হারাচ্ছে।
মানববন্ধনে বায়রার সদস্যরা বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার প্রক্রিয়ায় একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বাধা সৃষ্টি করছে। তারা মালয়েশিয়ায় মানব পাচার ও অর্থ পাচারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বৈধভাবে কর্মী পাঠানো হলেও এ গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার এখনো উন্মুক্ত করেনি, যা দেশের কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহের জন্য হুমকি।
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার আবার চালু হলে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিবছর অন্তত ২ লাখ করে ১০ লাখ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বায়রার সদস্যরা। তাঁরা বলেন, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত ৫০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেতে পারে বাংলাদেশ। তাই শ্রমবাজারকে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থের বলি না করে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে জনশক্তি রপ্তানি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে মালয়েশিয়াসহ সব বন্ধ শ্রমবাজার খোলার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আল সুপ্ত ওভারসীসের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ মজুমদার, পূরবী ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আর্থ স্মার্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ইএমএস ইন্টারন্যাশনালের এ এম এস সাগর, তাসনিম ওভারসীসের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আল আকাবা অ্যাসোসিয়েটের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্বাস, আল গিফারীর সাগর মাহমুদ, স্কাইল্যান্ড রিক্রুটিংয়ের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আরমান এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ সাজ্জাম হোসেন, ফ্রিডম ওভারসীসের কফিল উদ্দিন মজুমদার, এসএফ গ্লোবালের হাওলাদার ফোরকান উদ্দিন, দুবাইপ্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ম হ ম মদ শ রমব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ক অনুষদের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব ও গবেষণা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অনুমোদিত ভবনের কাজ অবিলম্বে শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
গণিত বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব বলেন, “জাবি সৃষ্টির ৫০ বছরেও আমাদের বিভাগের ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট বিদ্যমান। একটা ল্যাবে ২৫ জনের বেশি ক্লাস করতে পারে না, বসতে পারে না। অথচ আমাদের প্রতিটা ব্যাচে ৮০ জন শিক্ষার্থী। আমরা আসলে এখান থেকে কি শিখব?”
আরো পড়ুন:
জাবিতে যুক্ত হলো আরো চারটি ইলেকট্রিক কার্ট
গাছ কেটে ভবন নির্মাণের ব্যাখ্যা দিল জাবি প্রশাসন
তিনি বলেন, “ক্লাস রুমগুলো এত ছোট যে, এক বেঞ্চে ৫-৬ জন করে বসতে হয়। কেউ কেউ দাঁড়িয়েও থাকে। এটা কোনোভাবেই পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ হতে পারে না। আমরা চাই জাবির এ পুরনো বিভাগ কোনোকিছুর সংকট থাকবে না। শিক্ষার্থীরা সবকিছুর সুবিধা ঠিকঠাক উপভোগ করবে। তাই আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, যতদ্রুত সম্ভব আমাদের ভবনের কাজ শুরু করতে হবে।”
গণিত শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি আবু রুম্মান বলেন, “চারটি বিভাগের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে গণিত বিভাগ একটি। সেই সূচনালগ্ন থেকেই গণিত বিভাগ সফলতার সঙ্গে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। এতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আমরা ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকটে ভুগছি। ছোট ছোট কিছু রুমে আমাদের গড়ে ৮০/৯০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “একটা ল্যাব পরীক্ষা শেষ করতে আমাদের ছয়-সাতদিন লেগে যায়। এত সমস্যার পরেও আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। এখন আমাদের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু একটি মহল আমাদের গাছ কাটার দোহাই দিয়ে ভবনের কাজ আটকানোর চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসন বলতে চাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের ভবনের কাজ শুরু না হয়, আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী