ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের প্রতিবাদী ভাষা বরাবরই ভিন্ন। সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক যে কোনও ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি। এবার পহেলগাঁওয়ের হামলার ঘটনাতে নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানালেন এই শিল্পী। প্রতিবাদে বাতিল করলেন কনসার্ট।

ভারতীয় গণমামাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ এপ্রিল চেন্নাইয়ে শো করার কথা ছিল অরিজিৎ সিংয়ের। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে হামলায় নিহত পর্যটকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেই কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে শো বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার আবহে আয়োজক এবং শিল্পীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আগামী রবিবার চেন্নাইতে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেটা বাতিল করা হল। যারা কনসার্টের টিকিট কিনেছিলেন তারা প্রত্যেকেই পুরো টাকা ফেরত পাবেন। সেই টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে ক্রেতাদের অ্যাকাউন্টে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলায় অন্তত ২৮ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রনৌতে, অনুপম খের ও শ্রেয়া ঘোষালসহ অনেক তারকাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট অর জ ৎ স ব ত ল কর কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ