ভাঙ্গায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
Published: 24th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা বাজারের থানা রোডের কালীবাড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই পরীক্ষার্থী উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের একজন আশিক মাতুব্বর (১৭) উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বন্ধু সাইম শেখ (১৮) ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থী। আশিকের আজ কৃষি শিক্ষা এবং সাইমের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাইম শেখ বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী হলেও একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় প্রতিদিন একসঙ্গে পরীক্ষা দিতে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে আসি। আজও সেভাবেই ভ্যানে করে আসছিলাম। ভ্যানটি ভাঙ্গা বাজারের থানা রোডসংলগ্ন কালীবাড়ির সামনে এলে আমাদের গ্রামের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের দুজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।’
স্থানীয় লোকজন আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা দ্রুত জখমের স্থানে সেলাই দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসকসহ তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। বেলা একটায় পরীক্ষা শেষ হলে তাদের আবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। দুজনের বাঁ হাতসহ শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর সেলাইসহ অন্যান্য চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকসহ পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পরে আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে।
ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব মো.
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দুজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স পর ক ষ ক ন দ র পর ক ষ র থ ক য় পর ক ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
যোগ্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশে বিলম্ব, কলকাতায় মধ্যশিক্ষা ভবন অবরুদ্ধ
যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক তালিকা প্রকাশ না করায় কলকাতার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (এসএসসি) দপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার বিকেল থেকে চলা আন্দোলনে মধ্যশিক্ষা ভবনের মধ্যে আটকা পড়েছেন পর্ষদের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারসহ একাধিক কর্মকর্তা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল হওয়ায় আন্দোলনে নামেন নিজেদের ‘যোগ্য’ দাবি করা চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। তাঁদের মূল দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এ দাবির ভিত্তিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন, ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে এসএসসির ওয়েবসাইটে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকেলে মধ্যশিক্ষা ভবন ঘেরাও করেন এবং রাতভর পর্ষদ কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার সকালেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশ দেননি। আগের বৈঠকেও আন্দোলনকারীদের জানানো হয়েছিল, আইনজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখনো সেই আইনগত পরামর্শ না পাওয়ায় তালিকা প্রকাশ সম্ভব হয়নি।’
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভবনের ভেতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পর্ষদ চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘এই আন্দোলনে এখন শুধু শিক্ষকেরা নয়, বহিরাগতরাও যুক্ত হয়েছেন।’
এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, আন্দোলনকারীদের অপমান করার উদ্দেশ্যেই পর্ষদ চেয়ারম্যানের এ ধরনের বক্তব্য।