আইসিটি খাতে দুর্নীতির তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে নিয়াজ আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে টাস্কফোর্স
Published: 24th, April 2025 GMT
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত হয়েছে টাস্কফোর্স। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপ-সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স ও শ্বেতপত্র কমিটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ।
অফিস আদেশে বলা হয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। আইসিটি খাতে দুর্নীতি, অপব্যবস্থাপনার তদন্ত এবং আইসিটি শ্বেতপত্র প্রকাশের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হলো।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেস সেমিকন্ডাক্টর ও আইওটি বিশেষজ্ঞ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মাদ মুস্তাফা হোসেন, আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আফজাল জামি সৈয়দ আলী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ সালাম মারুফ, দৈনিক আজকের বাংলার পরিকল্পনা সম্পাদক মো.
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়, গঠিত টাস্কফোর্স আইসিটি খাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণা করে ‘আইসিটি শ্বেতপত্র’ প্রণয়ন করবে; শ্বেতপত্র প্রণয়নের স্বার্থে আইসিটি বিভাগের বিগত সরকারের সময়ে সম্পাদিত সকল ধরনের চুক্তি ও প্রকল্পের ডিপিপি, সকল অডিট রিপোর্ট ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা; ‘আইসিটি শ্বেতপত্র টাস্কফোর্স’ সকল প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ এবং বিস্তারিত প্রতিবেদন দুই মাসের মধ্যে দাখিল; টাস্কফোর্সের সদস্যরা বিধি মোতাবেক সম্মানী বা সিটিং অ্যালাউন্স পাবেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ টাস্কফোর্সকে লজিস্টিকস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। বিভাগের উপ-সচিব মো. আবু নাছের টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
টাস্কফোর্স প্রধান অধ্যাপক এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ একজন বাংলাদেশি উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা জীবন শুরু করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দারিদ্র্য ও উন্নয়ন অধ্যয়ন কেন্দ্রের অধ্যাপক এবং উপ-পরিচালক হিসেবে এবং পরে মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসরিয়াল ফেলো হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস ট খ ত শ ব তপত র তদন ত আইস ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ চাইলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতশাসিত কাশ্মীরে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ চেয়েছেন। ভারতের দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘যে কোনো হামলায় সবসময় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। তারা বার বার দোষারোপের খেলা খেলে। এবারও তাই করছে তারা। কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তান যদি জড়িত থাকে, তবে ভারত এর প্রমাণ বিশ্বের কাছে প্রকাশ করুক।’
এদিকে কাশ্মীরে হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারতের আত্মায় আঘাত করে তারা ভুল করেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছে, হামলায় অংশ নিয়েছে, তাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা চিন্তাও করতে পারবে না।
গত মঙ্গলবার ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর জেরে গতকাল বুধবার সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ভারতের ইস্যু করা সব ভিসা বাতিল করা হলো। এছাড়াও যেসব পাকিস্তানি ভারতে অবস্থান করছেন তাদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সর্ব ভারতীয় বৈঠকের আহ্বান করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
নয়াদিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় সামরিক যুদ্ধের দিকে যেতে পারে দুই দেশ।
গত মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর ওই হামলা হয়। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এ উপত্যকাকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ভারত বলছে, গতকালের এ ঘটনা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
পর্যটকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইরান, ইতালিসহ অনেক দেশ। হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার
পর্যটকদের ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে ড. ইউনূস বলেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।