মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেলেন দুই ক্রেতা
Published: 24th, April 2025 GMT
জনপ্রিয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন দুই জন। তারা হলেন—নোয়াখালীর বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল হাসান ও একই জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম। আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে সারা দেশে চলমান মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে এ সুবিধা পেয়েছেন তারা। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছিলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন আলী।
উল্লেখ্য, সিজন-২২ এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন গ্রাহকগণ।
গত ৯ এপ্রিল কুমিল্লার রাজেন্দ্রপুরের শ্রীপুরে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ক্রেতার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের সাউথ জোনের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম রুবেল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘হিমালয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেকনলোজি’ ও ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্বাধিকারী যথাক্রমে ইমান হোসেন এবং রাজীব চন্দ্র দাস প্রমুখ।
১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার বিজয়ী কামরুল হাসান জানান, তার বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরায়। স্ত্রী ও এক ছেলেসহ চার সদস্যের পরিবার তার। সৌদি আরবে চাকরি করেন প্রায় চার বছর ধরে। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১১ মার্চ বাসায় ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার টাকায় মার্সেল ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কেনেন। সোনাইমুড়ীতে মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘হিমালয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেকনলোজি’ থেকে ফ্রিজটি কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পান তিনি। সেই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে মার্সেল ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন, সিলিং ফ্যান ও এসি কেনেন। এতগুলো প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য এক সঙ্গে ঘরে তুলে মহাখুশি তার পরিবার।
একই দিনে নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাটে মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ঢাকা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৩ হাজর ৩৯০ টাকা দিয়ে মার্সেলের একটি ফ্রিজ কেনেন আমিরুল ইসলাম। তিনিও একইভাবে পণ্যটি কেনার পর বারকোড দিয়ে মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে অংশ নেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পান। ওই ক্যাশ ভাউচারের বিপরীতে মার্সেল শোরুম থেকে একটি করে ওয়াশিং মেশিন, সিলিং ফ্যান ও টেবিল ফ্যান নিয়েছেন আমিরুল।
ক্রেতারা দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতার দেওয়া মোবাইল নম্বরে মার্সেল থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে উপহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র স ল ড স ট র ব উটর
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালের আঙিনায় পাওয়া গেল ‘প্রিম্যাচিউর’ নবজাতকের লাশ
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙিনা থেকে একটি নবজাতকের রক্তমাখা মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, নবজাতকটি ‘প্রিম্যাচিউর’। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে কর্মরত কোনো নার্স বা কারও মাধ্যমে কেউ গর্ভপাত করে নবজাতকটিকে হাসপাতালের বারান্দার গ্রিল দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের প্রহরী মজিবুর রহমান হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে নবজাতকটিকে পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম।
ওসি জাবেদ উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ‘প্রিম্যাচিউর’ অবস্থায় নবজাতকটি গর্ভপাত করা। এ জন্য মরদেহ থানায় আনা হয়নি। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় কে বা কারা নবজাতকটিকে ফেলেছে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী মজিবুর রহমান জানান, তিনি রাতে হাসপাতাল পাহারা দেন। সকালে ডিউটি শেষে বারান্দা দিয়ে বের হওয়ার সময় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে রক্তমাখা নবজাতকের মরদেহ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে তিনি বাসায় চলে যান। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পূর্ণিমা বলেন, ‘আরএমও (আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা) স্যার আমাকে নির্দেশ দিলে আমি নবজাতকটিকে একটি কার্টনে ভরে নিয়ে আসি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা হাসপাতালে এসে সবকিছুর খোঁজখবর নেয়। শিশুটি মাতৃগর্ভে অনুমান ৩০ সপ্তাহ পূর্ণ হলেও ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ণতা পায়নি। তাই পুলিশ সদ্যোজাত শিশুটির মরদেহ থানায় না নিয়ে আমাদের মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিলে দুপুরে আমরা হাসপাতালের বাগানে মাটিচাপা দিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার পর তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এ ধরনের কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। ধারণা করা যাচ্ছে, বাইরের কোনো ঘটনার পর হাসপাতালের আঙিনায় প্রিম্যাচিউর নবজাতকটি কেউ ফেলে গেছেন। তবে তাঁরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন। হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।