ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড সচিবকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ টিম। দুদকের ভাষ্য, গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁকে ঘুষের ১০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম কুতুবউদ্দিন সোহেল। তিনি ২ নম্বর অঞ্চলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্মাণাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর জন্য সিটি করপোরেশনে ছাড়পত্র প্রয়োজন। আবেদনপত্র দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ত্রুটি না পেলেও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির ব্যবস্থাপক মো.

সাইফুল ইসলাম দুদকে একটি অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, টাকা না দিলে কোনোভাবেই ছাড়পত্র দেবেন না। পরে কুতুবউদ্দিনকে আইনের আওতায় আনতেই সাইফুল ইসলাম কৌশলগতভাবে টাকা দিতে সম্মত হন। পরে তাঁকে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা, দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল দাহ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পদত্যাগ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার কর্তৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা 

সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রের যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোর আনজুম সাম্য বলেন, রেজিস্ট্রার একজন সাম্রাজ্যবাদী কলোনিয়ালিস্ট। আমরা কলোনিয়ালিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। মেরুদণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। এরপর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে, এর জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন। 

শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী দোসর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এখনও সক্রিয়। আমরা মনে করেছিলাম, ৫ আগস্টের পরে তারা আর থাকবে না। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়েছেন। এই রেজিস্ট্রার হলেন সেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসরের একজন। ভালোই ভালো নিজের ডিপার্টমেন্টে ফিরে যান। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। ফ্যাসিস্টদের কোন প্রশাসনিক জায়গায় থাকতে দেব না।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, কারণ সব জায়গায় অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন একাডেমিক ব্যক্তিকে কেন রেজিস্ট্রারের জায়গায় বসানো হয়েছে, সেই উত্তর দিতে হবে। ক্ষমতা যদি আপনার হাতিয়ার হয়, তাহলে ছাত্ররা ইতিহাসের আশ্রয় নেবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে হবে। অব্যাহতি দেওয়া না হলে পরবর্তীতে সময় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিব। এ সময় শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবির কথা বললে সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন।

জবি ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিব বলেন, এভাবে বলা হয়েছে যে, আমাদের কোনো প্রকার আবাসনের দায়িত্ব আমাদের থাকা-খাওয়ার দ্বায়িত্ব নাকি প্রশাসনের না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটের ভুক্তভোগী। আজ যদি আমাদের এই আবাসন সংকট না থাকতো, তাহলে এই কথাগুলো আসতো না। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য যদি এমন হয় যে, আমার অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমার নয়। এটা কখনোই হতে পারে না। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ