প্রধান বিচারপতির সৈয়দ রেফাত আহমেদের বিদেশ সফরকালীন সময়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তুরস্ক সফরের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বৃহস্পতিবার ভোরে দেশ ছেড়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি আন্তর্জতাকি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। পরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন। ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্যানেল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধান বিচারপতি।

তুরস্ক সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি দেশ ছেড়েছেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক দোলমাবাছ প্রাসাদে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ৩০ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বিদেশ সফরকালীন সময়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.

আশফাকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব চ রপত আপ ল ব ভ গ ক ল ইসল ম ত রস ক করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ