সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ক্ষতিকারক জেলি পুশকৃত ২১০ কেজি চিংড়ি মাছ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খাগড়াঘাট গ্রামের আতাউরের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চিংড়ি মাছ উদ্ধার করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাত অভিযুক্তদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এ টাকা অনাদায়ে তাদের ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে শুঁটকি উৎপাদনে ভাটা

১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

কালীগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে ২১০ কেজি ক্ষতিকারক জেলি পুশকৃত বাগদা, গলদা ও হরিণা চিংড়ি মাছ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে জেলি পুশ করার সরঞ্জাম সিরিঞ্জ, জেলি,  মেডিসিনসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার গুমানতলী গ্রামের কাওছার মোড়লের ছেলে আতাউর মোড়ল ও শওকত মোল্লার মেয়ে ছামিয়া বেগম। উদ্ধারকৃত চিংড়ি আগুনে জ্বালিয়ে নষ্ট করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাত জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শ্যামনগরে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদাসহ ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগরের নকিপুর গ্রামের শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রহমত আলী বাড়ির সামনে বিল্লাল গাজীর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ৩৪টি হাসুয়া ও ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) একই এলাকার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাবের মিস্ত্রির দখলে থাকা পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৪টি হাসুয়া ও রামদা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিল্লাল গাজীর স্ত্রী সুফিয়া সকালে পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে কাজ করার সময় বস্তার ভিতরে থাকা দেশীয় অস্ত্রগুলো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তার ভিতর থেকে ৩৪টি হাসুয়া এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন ধরে পানির মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারনে এসব অস্ত্রে মরিচা পড়ে গেছে।

নকিপুর গ্রামের সুজা মাহমুদ জানান, অস্ত্রগুলো বিভিন্ন সময়ে ভূমিহীন নেতা ও বাস্তুহারালীগ সভাপতি মোকছেদ, তার জামাতা স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সাবের মিস্ত্রি ও ছেলে রহমত আলীর নেতৃত্বে ভূমিদস্যু বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতেন। পাঁচ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর থেকে সাবের ও তার শ্যালক রহমত পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “খবর পেয়ে বস্তার মধ্য থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। পুকুরে কে বা কারা এই রাম দা ও হাসুয়া গুলো লুকিয়ে রেখেছিল সে তথ্য উদঘাটনে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারি খাল দখলের অভিযোগ
  • শ্যামনগরে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
  • মায়ের কোল থেকে ছিটকে গাড়ির চাকায় পিষ্ট শিশু