আট দিন পর চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী উদ্ধার
Published: 24th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের আট দিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল পাঁচজনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া বিকাল ৩টার দিকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি নিপন ত্রিপুরাও তাদের মুক্তির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরাকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পিসিপি।
বর্ষবরণের বিঝু উৎসব শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একজন গাড়ি চালককেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জন্য সন্তু লালমার সমর্থক পিসিপি অংশের নেতারা শুরু থেকেই পাহাড়ের তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও; প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন অংশটি তা অস্বীকার করে আসছিল।
পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে পার্বত্য তিন জেলায় ধারাবাহিক বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। ৯ দিন পর তাদের মুক্তির খবর এল।
পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্র সংগঠনসমূহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে যারা সোচ্চার ছিলেন বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বাংলাদেশিকে ভারতে নির্যাতনের অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
বাংলাদেশের দুই নাগরিককে ভারতে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী দুই বাংলাদেশি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনে বিজিবি।
নির্যাতনের শিকার দুই বাংলাদেশি হলেন- মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৫৪)। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন স্বজনরা।
রোববার ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলার তুলশীপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিদাই এলাকায় ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাদের বাঁচাতে চেষ্টা করেন। পরে ওই দুই বাংলাদেশিকে আটক করে সরকারি পিকআপ ভ্যানে তুলে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
ঘটনা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজিল আহমেদ জানান, এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিএসএফ সদস্যরা হরিণখোলা সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবি সদস্যদের কাছে রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়াকে হস্তান্তর করেন। পরে তাদের মাধবপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদের সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।