খাগড়াছড়িতে অপহৃত পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মুক্ত: পিসিপি
Published: 24th, April 2025 GMT
অপহরণের সাত দিন পর গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে তাঁদের মুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে বলেন, ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। যেহেতু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ থেকে বিবৃতি দিয়েছে।
বিজু উৎসব উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাঁদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিল।
পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
আজ পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েছে পিসিপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্রসংগঠন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে।
বিবৃতিতে পিসিপি শিক্ষার্থীদের মুক্তির আন্দোলনে সোচ্চার থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পিসিপি নেতা রিবেক চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপহরণক র র অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
কক্সবাজারের টেকনাফের মহেষখালী এলাকায় অভিযানকালে অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ রফিক (২৭) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মো. রফিক অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
ওসি জানান, সন্ধ্যায় ওই এলাকায় অপহরণকারী একটি দল অবস্থান করছে এমন খবরে যৌথ বাহিনীর একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে রফিক নামে এক অপহরণকারী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজারে পাঠানো হয়। বুকের বাম পাশে গুলি লাগে। তার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।