পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)-তে অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরে বাকখালী নদীর দখল দূষণ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না। বর্তমান সরকার সীমিত সময় বিবেচনায় কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছি।

তিনি জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে, সেটিও বন্ধ করা হচ্ছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ ২০ একর জমি ফেরত আনা হচ্ছে। এছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট উপদ ষ ট পর ব শ বনভ ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও হা-মীম গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা ও কর্মসংস্থানে পেশাগত উন্নয়নে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও হা-মীম গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

বুধবার শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। 

সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে হা-মীম গ্রুপ শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে এবং স্নাতক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চাকরি প্রাপ্তির সুবিধার্থে হা-মীম গ্রুপ ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে কাজ করবে। এ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিল্প-কারখানার শিক্ষামূলক পরিদর্শন, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গবেষণা ও কর্মসংস্থানে পেশাগত উন্নয়নে কাজ করবে।

সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ-ই-আলম, রেজিস্ট্রার ড. পার মসিয়ূর রহমান, ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মুস্তাফা, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বেহজাদ নূর। 

অন্যদিকে হা-মীম গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- হা-মীম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইমরান আহমেদ এবং অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপক উম্মে আফিয়া আখতার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ