নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ করার জেরে ছোট ভাইয়ের দুই হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার খাজুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী তরুণের নাম ইস্রাফিল হোসেন (২২)। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চকঘোরপাঠিয়া গ্রামে হলেও নাটোরে টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তাঁদের আদি বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তাঁরা তিন ভাই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ গ্রামে বসবাস করেন। মেজ ভাই ইসমাইল হোসেন নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে বসবাস করেন। ছোট ভাই ইস্রাফিল হোসেন আদি বাড়িতে বসবাস করলেও নাটোরে টাইলসের কাজ করেন। সম্প্রতি ইস্রাফিল মেজ ভাইয়ের স্ত্রীর কিছু অশ্লীল ভিডিও করেন। ঘটনাটি জানাজানির পর আজ সকালে মেজ ভাই তাঁকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। সকালে ইস্রাফিল তাঁর বাড়িতে গেলে মেজ ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে তার দুই হাতের কবজি কেটে দেন। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত কুমার প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর (ইস্রাফিল) দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। সকাল সাতটার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, সে সময় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো.

একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। পুলিশ মাঠে আছে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে। মামলা হয়নি। স্বজনেরা চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তাঁরা ফিরে এসে মামলা করবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই হ ত র কবজ প রথম বগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিওর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)
ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন।
      
তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে আইন অনুযায়ী সেটি কমিশনের যাচাই-বাছাই সেল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জমা হলেও একই সেল সেটি খতিয়ে দেখার পর একই প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান শুরু হবে। দুর্নীতির আমলযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গত ৮ এপ্রিল। চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট মোয়াজ্জেম হোসেনকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ