আওতার মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় সংস্কার ইসি নিজেই করবে: সিইসি
Published: 24th, April 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যেসব সংস্কার আশু প্রয়োজনীয় এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতার মধ্যে আছে, সেগুলো কমিশন নিজেরাই বাস্তবায়ন করবে। আর যেসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত, সেগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলি। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ কথা বলেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার। ইসি তার প্রস্তুতির কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন। প্রধান কী কী বিষয়ে সংস্কার করতে যাচ্ছে ইসি, তা জানতে চেয়েছেন। কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইসিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন হাইকমিশনার।
সংস্কারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, যেসব সংস্কার আশু প্রয়োজনীয়, নির্বাচনের আগে করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশন করবে। কিছু সংস্কারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত রয়েছে। এগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এ ধরনের যেসব সংস্কারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত, সেগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করবে।
ভোট প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে তুলে ধরা বিষয় সম্পর্কে নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেনাকাটা থেকে আইনি সংস্কারের অগ্রগতি, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ইত্যাদি জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সবার ‘প্রত্যাবাসন’ চাওয়া হবে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘যাঁরাই অভিযুক্ত, যাঁদের বিরুদ্ধে বড় দুর্নীতির অভিযোগ, খুনের মামলা আছে, তাঁদের ব্যাপারে আমরা সিরিয়াস। প্রত্যেকের প্রত্যাবাসন চাইব আমরা। তাঁদের বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁদের আইনের আওতায় আনা সেটি আমাদের কেন; আমি মনে করি, আমাদের পরবর্তী যেকোনো সরকার, সবার জন্যই নৈতিক দায়িত্ব।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘এঁরা (আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী) বাংলাদেশের মানুষের টাকা চুরি করে বাইরে গিয়ে ফুর্তি করছেন। অবশ্যই তাঁদের ফেরানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই কাজটা আমরা করব।’ তিনি আরও বলেন, বিদেশে পালিয়ে যাওয়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতার হাতে রক্ত লেগে আছে। তাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত। বড় বড় দুর্নীতিতে যুক্ত।
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইসলামপন্থী দলগুলোর আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রতিবেদনটি ঐকমত্য কমিশনে যাবে। তা নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। কারণ, অনেকগুলো বিষয় রাজনৈতিকভাবে আলাপ-আলোচনার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা প্রতিবেদনের কতটুকু নেব, কতটুকু নেব না।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কথা বলতে শ্রম সংস্কার কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে পারে। কারণ, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।