সহজ-সরল পাত্রী, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টো চিত্র
Published: 24th, April 2025 GMT
ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।
গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’
মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!
এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।
নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানের ইতিহাসে এবারই প্রথম
একজন পুরুষ, একজন নারী, একটি জনশূন্য সমুদ্রসৈকত, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। তিন মাস পুরোনো একটি ভাবনা। তিন সপ্তাহের শুটিং। বিশ সেকেন্ডের একটি দৃশ্য। এ ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে ঠিক ৬০ বছর আগে। ১৯৬৫ সালে, ক্লদ লেলুশের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভগ্নহৃদয় দুই মানুষ–আনুক এমে এবং জঁ-লুই ত্রঁতিনিয়াঁর একটি আবেগঘন মুহূর্ত। তারা একে অপরের ভালোবাসার ঘূর্ণিপাকে একত্র হয়েছিলেন।
এটি ছিল ‘অ্যা ম্যান অ্যান্ড অ্যা ওম্যান’ ছবির স্মরণীয় দৃশ্য। একজন পুরুষ এবং একজন নারী– যারা একে অপরকে ভালোবাসেন, তাদের আলাদা করা যায় না। এই পুরুষকে ওই নারী থেকে আলাদা করা যায় না। তাই, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, কান চলচ্চিত্র উৎসব বেছে নিয়েছে একটি ডাবল অফিসিয়াল পোস্টার। একজন পুরুষ এবং একজন নারী– পাশাপাশি, আবার এক সঙ্গে। উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘পোস্টার দুটির মাধ্যমে দুই প্রয়াত ফরাসি তারকা আনুক এমে ও জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলো।
কান উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আনুক এমে ও জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁ এই দুটি পোস্টারের মতো চিরকাল আমাদের জীবনের চলচ্চিত্রকে আলোকিত করে যাবেন, যার রঙে ফুটে থাকে হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা আবেগপ্রবণ ভালোবাসার তীব্রতা।’ কান উৎসবে জ্যঁ-লুই ত্রাতিনোঁ ১৯৬৯ সালে ‘জি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা আর আনুক এমে ১৯৮০ সালে ‘অ্যা লিপ ইন দ্য ডার্ক’ ছবির সুবাদে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন। তারা দু’জনেই প্রয়াত হয়েছেন।
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে আগামী ১৩ মে। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকদের সভাপতি হিসেবে থাকছেন ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ।