Prothomalo:
2025-04-24@11:50:39 GMT

বনবিবি নিয়ে বিবিধ আলাপ

Published: 24th, April 2025 GMT

সাইদুল হক জুইসের হাতে লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারি বদলে যায় এক গাঢ় অরণ্যে। ‘বনবিবির খোঁজে’ শিরোনামে প্রদর্শনীতে জুইসের বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি শিল্পের ওপর ভর করে একটি অন্বেষণ প্রক্রিয়া দেখতে পাই। তিনি তাঁর শিল্প ও ভাবনার মাধ্যমে খোঁজ করেছেন বাংলার বনবিবির। 

বনবিবি এক অভূতপূর্ব অধ্যাত্ম। সমন্বয়বাদী এক অস্তিত্ব। সনাতন ও মুসলমান ধর্মের মানুষেরা যেসব ক্ষেত্রে এক সূত্রে গাঁথা, তার একটি হলো বনবিবি।

জুইস করোনাকালের কোয়ারেন্টিনে থেকে কাগজ ছিঁড়ে কেটে কলমের আর রঙের ব্যবহারে কোলাজ তৈরি করেন। শুরু হয় তাঁর বনবিবির খোঁজ। শিল্পীর রঙিন এই কোলাজগুলোর যে ভঙ্গি ও ঝোঁক, তার সঙ্গে সাদৃশ্য পাই গ্যালারিতে রাখা অন্যান্য মাধ্যমে করা শিল্পেরও। প্যাঁচানো তার দিয়ে করা জুইসের ভাস্কর্যের মধ্যেও পাওয়া যায় ঘন অরণ্য৷ মাধ্যমের ব্যবহারে জুইস যে কার্পণ্য করেননি, তা বোঝা যায়। 

প্রদর্শনীতে আছে তাঁর রিলফ ধাঁচের পেইন্টিং। এখানে রঙের ব্যবহার তীব্র ও সাহসী। তা ছাড়া গ্যালারিতে আছে বনবিবিকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন পঙ্​ক্তি। এসব পঙ্​ক্তির অনেকগুলোই প্রাচীনকাল থেকে লোকমুখে ভেসে বেড়িয়েছে। তবে ব্যবহৃত এসব কবিতা প্রদর্শনীর ভাব ও রস বোঝার জন্য জরুরি হলেও তাদের উপস্থাপনে সেই গুরুত্ব ষোলো আনা প্রকাশ পেয়েছে কি না, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে।

কাঠ কেটে ভাস্কর্য গড়েছেন জুইস, যা দর্শকের জন্য একটি দৃশ্যগত সুখের কারণ হয়ে উঠেছে। কেননা এখানে শিল্পীর কারূতা এতই অভূতপূর্ব যে কাজটি চোখে লেগে থাকে।

প্রদর্শনীতে জুইস ব্যবহার করেছেন তাঁর কিছু পুরোনো কাজও। মানুষরূপী অবয়বের প্রাণী তাদের কাঁধে নিয়ে যাচ্ছে বিশালকায় একটি ফিমার; মানবদেহের সব থেকে বড় হাড়। বোঝাই যায়, এই হাড় জনমানুষের ওপর ঘটে যাওয়া বিশ্বব্যাপী নিপীড়ন ও শোকের ঘনঘটা। এই স্থাপনাশিল্পটি যেন শোকেরই শবযাত্রা, যেখানে আমাদের সুন্দরবন এবং তাকে ঘিরে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে, সেটিও শামিল হয়েছে।

শিল্পকলা কিংবা শিল্পের ইতিহাসে মানুষ বিভিন্ন সময় বিচিত্র বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে। কিন্তু দিন শেষে সঠিক উত্তর পাওয়ার থেকে ভ্রমণটাই উপভোগ্য হয়ে ওঠে। ‘বনবিবির খোঁজ’ প্রদর্শনীতে দর্শক বনবিবিকে কতটা পাবেন, বলা মুশকিল। তবে এখানে শিল্পীর শিল্পবৈভব সম্পর্কে যে জোর ধারণা পাওয়া যায়, সেটা বলা বাহুল্য।

৪ তারিখে শুরু হওয়া প্রদর্শনীিটি চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র বনব ব র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার কি কোনো নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডার বিষয়

সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে তর্কবিতর্কে তুমুল একটা সময় পার করছে বাংলাদেশ। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সময়টা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়া বা না নেওয়ার ফল বাংলাদেশকে অনেক দিন ধরে ভোগ করতে হতে পারে। এ কারণে রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সব পক্ষেরই ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা বা অনুরাগ–বিরাগের বশবর্তী হয়ে ভুল পদক্ষেপ নেওয়া না হয়।

একটা সমস্যা হলো, সংস্কারের এজেন্ডাকে অনেকে অন্তর্বর্তী সরকার বা এনসিপির এজেন্ডার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। এর প্রভাব খোদ সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর গিয়ে পড়ছে। এতে অনেক মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে না, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে তাদের ওপর জনমতের চাপও তৈরি হচ্ছে না। এ রকম কিছু মৌলিক সংস্কার হলো জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন; আনুপাতিক পদ্ধতির উচ্চকক্ষ; সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি; একই ব্যক্তির একাধারে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা না হওয়া; এক ব্যক্তির দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর একচেটিয়া ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার জন্য এই সংস্কারগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

দুই.

কেউ কেউ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগে উগ্রবাদী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়াই মঙ্গলজনক। এই যুক্তিধারায় কিছু সমস্যা আছে। প্রথমত, উগ্রবাদী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দেওয়ার পরিবেশ দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে, নির্বাচনের পরও থাকবে, যদি রাষ্ট্রের কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক রূপান্তর না হয়। কাজেই উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ভয়ে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারগুলো বাদ রেখে নির্বাচন করার ফল হিতে বিপরীতে হতে পারে। যার দৃষ্টান্ত অতীতে আমরা দেখেছি।

দ্বিতীয়ত, শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংস্কার করাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচনের পর যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেই সরকার যেন স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। যেমন সংবিধান সংস্কার না করেও আপাতত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে। একইভাবে পুলিশ সংস্কার না করে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করে কিংবা আমলাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো না করেও দেশে কোনোরকমে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। অতীতে বিভিন্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই সংবিধান, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও আমলাতন্ত্র বজায় রেখেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে কিন্তু তাতে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের চরম স্বৈরাচারী হয়ে যাওয়া ঠেকানো যায়নি।

কাজেই উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের আশঙ্কায় শুধু কিছু নির্বাচনী সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন করা ঠিক হবে না। তার মানে আবার এই নয় যে কয়েক বছর সময় নিয়ে সব সংস্কার একবার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। যেভাবে তা হতে পারে—

ক. স্বৈরাচারী ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো ইতিমধ্যেই চিহ্নিত। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে। 

খ. যেসব সংস্কার সংবিধান সংস্কার ছাড়াই করা যায়, সেগুলো নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অধ্যাদেশ জারি করেই তা করা যায়। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলো সেসব অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদের মাধ্যমে আইনে পরিণত করার লিখিত অঙ্গীকার করবে।

গ. সংবিধান সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরে গণপরিষদ নির্বাচন করা হবে। গণপরিষদ রাজনৈতিক ঐকমত্য অনুসারে পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংশোধন করবে এবং পরে নিয়মিত আইনসভা হিসেবে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করবে।

সংবিধান সংস্কার ছাড়া যেসব সংস্কার করা সম্ভব, সেসব সংস্কার ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির প্রয়োজন হবে। এ জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শর্ত হিসেবে জনগুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কারগুলোকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো নির্বাচনের আগে ও পরে বাস্তবায়নের লিখিত অঙ্গীকারের বিনিময়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে। তাহলে একদিকে জনগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো যেমন বাস্তবায়ন করা যাবে, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাও কাটবে। 

বর্তমানে সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে পদ্ধতিতে আলাপ–আলোচনা চলছে, তাতে রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিকদের অংশগ্রহণের তেমন কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না।তিন.

অবশ্য এই ধরনের সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করার জন্য নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে। এ জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার পক্ষে যে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা এই সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা আসলে সংস্কার কতটুকু চায় আর সংস্কারের নামে নিজেদের ক্ষমতা সংহত করতে চায়, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শোনা যায়, পাঁচ বছরের প্রচারণা জোরদার করার জন্য নাকি জন-সম্পর্ক (পিআর) এজেন্সি ভাড়া করা হয়েছে। 

এ ধরনের প্রচারণার ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। যারা সত্যিকার অর্থে বিদ্যমান স্বৈরাচারী ক্ষমতাকাঠামোর সংস্কার চায়, তাদের উচিত ডিসেম্বরের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ কতগুলো সংস্কার ও নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা। তা না করে অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার আলাপ তোলা হলে সরকার ও এনসিপির উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান সব রাজনৈতিক পক্ষগুলো আরও উদ্বিগ্ন হয়ে জোট বেঁধে সরকার ও সংস্কার—উভয়েরই তীব্র বিরোধিতা শুরু করবে। এ রকম হলে সরকারের পক্ষে অর্থপূর্ণ সংস্কার করা অত্যন্ত কঠিন হবে।

চার.

কাজেই যারা সত্যিকার অর্থেই স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতাকাঠামোর সংস্কার চায়, তাদের দায়িত্ব হলো ডিসেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনসহ সুনির্দিষ্ট সংস্কারের দাবি তোলা। প্রশ্ন আসতে পারে সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই যে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের ব্যাপারে একমত হতে পারবে, তার কী নিশ্চয়তা। এখানেই চলে আসে নাগরিকদের দিক থেকে ব্যক্তিগত ও সংগঠিত তৎপরতার প্রয়োজনীয়তা।

বর্তমানে সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে পদ্ধতিতে আলাপ–আলোচনা চলছে, তাতে রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিকদের অংশগ্রহণের তেমন কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না।

এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে যেমন সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, নাগরিকদের দিক থেকেও উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিশনগুলোর ওয়েবসাইটে সংস্কারের সুপারিশসহ প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাচ্ছে। নাগরিকদের এই প্রতিবেদনগুলো পড়ে ফেলতে হবে। পুরো প্রতিবেদন পড়তে না পারলেও সারসংক্ষেপটুকু অন্তত পড়তে হবে। তারপর বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবনার পক্ষে–বিপক্ষে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুনরাজনৈতিক দল সংস্কার একবারে হয় না  ১৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোরও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন, যেন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো নিয়ে শক্তিশালী জনমত তৈরি হতে পারে। এভাবে এক ব্যক্তির দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব না থাকা কিংবা ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে যে ধরনের জনমত তৈরি হয়েছে, পুলিশ, বিচার বিভাগ, আমলাতন্ত্র, গণমাধ্যম, নারী, শ্রম ইত্যাদি খাতের সংস্কার নিয়েও এ রকম জনমত তৈরি হবে এবং সেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ তৈরি হবে। ফলে নির্বাচনের আগে সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলেও নির্বাচনের পরও সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের চাপ বজায় থাকবে।

পাঁচ.

মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডার বিষয় নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্যই এসব সংস্কার অত্যাবশ্যক। সংস্কার বিতর্কে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব হবে না।

কল্লোল মোস্তফা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবেশ ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিষয়ক লেখক

[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ