কাশ্মীরে হামলা: নতুন সংঘাতে জড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান?
Published: 24th, April 2025 GMT
কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অঞ্চলটির সাম্প্রতিক শান্ত পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।
এই পর্যটন এলাকাটি মুহূর্তেই রক্তাক্ত বিভীষিকার স্থলে পরিণত হয়েছে। এতে করে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হামলার সময় বন্দুকধারীরা ঘন পাইন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
হামলার শিকার হওয়া লোকজন তখন পিকনিকের মেজাজে ছিলেন। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছিলেন।
হামলার পরপরই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, এর ‘কড়া ও স্পষ্ট জবাব’ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনকাশ্মীর: যে হামলা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে১৮ ঘণ্টা আগে‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের স্বল্প পরিচিত একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তবে ভারত মনে করছে, এই গোষ্ঠী আসলে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা বা এমনই অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের ছদ্মনাম।
পাকিস্তান অবশ্য জঙ্গিদের কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা বলছে, কাশ্মীরিদের ‘স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে’ তারা নৈতিকভাবে সমর্থন করে।
এই নির্বিচার হত্যার ঘটনায় আবারও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূখণ্ড কাশ্মীর নিয়ে তিনটি যুদ্ধ করেছে।
এর বাইরে বেশ কয়েকবার তারা যুদ্ধের কাছাকাছি অবস্থানে গিয়েছে।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তানের বিরোধ আরও যেভাবে বাড়ছে২৫ মার্চ ২০২৫পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পর ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকেরা নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপহরণের ৯ দিন পর খাগড়াছড়ির ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কয়েক দফায় অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
তবে, কোথায়-কখন তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। অপহরণের ৯ দিন পর অপহৃতরা মুক্তি পেল।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকায় অপহরণের শিকার হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থী।
তারা হলেন- চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি।
এদের মধ্যে রিশন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপহৃতদের উদ্বারে সোচ্চার থাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অপহরণ ঘটনার জন্য আবারও প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ‘ইউপিডিএফ’ কে দায়ি করা হয়। তবে তা অস্বীকার করে ইউডিপিএফ প্রসিত গ্রুপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অপহরণের পর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী খাগড়াছড়িতে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে।
ঢাকা/রূপায়ন/এস