হামাসকে ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়, এমন গালি দিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস
Published: 24th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘সান অব....’ বলে গালি দিলেন। তিনি গাজায় অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তি দিতেও হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্দীদের মুক্তি না দেওয়ার বিষয়টি ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের জন্য একটি অজুহাত তৈরি করছে।
ইসরায়েল–নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অনুষ্ঠিত ৩২তম প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তৃতাকালে মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন। বিশেষ করে তিনি আমেরিকান-ইসরায়েলি বন্দী আদি আলেক্সান্ডারের প্রসঙ্গটি তোলেন।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। কেন? তারা সেই মার্কিন জিম্মিকে হস্তান্তর করতে চায় না।’
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস হামাসের উদ্দেশে বলেন, ‘সান অব.
মাহমুদ আব্বাস আরও বলেন, ইসরায়েলের কারণে নয়, বরং এই বন্দীদের আটকে রাখার কারণে ‘আমাকে এবং আমার জনগণকে মূল্য দিতে হচ্ছে’।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে ৫৮ জন এখনো বন্দী আছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, ৩৪ জন ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।
হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়া এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর জন্য আব্বাসকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে।
মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করে। আর হামাস ২০০৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে বিভক্তির পর থেকে গাজা শাসন করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
আগে স্থানীয় নির্বাচন চান চরমোনাই পীর ও নুর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে দল দুটির বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতেও ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।
রেজাউল করীম বলেন, গত ৫৩ বছরে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে অযোগ্য লোকজন ক্ষমতায় বসে দেশকে অশান্ত করেছিল। সে জন্য আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে একমত হয়েছি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক বলেন, কিছু মৌলিক সংস্কার না হলে দেশে আবার স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শাসন তৈরি হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্মম গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছি। তাদের রাজনীতির সুযোগ পাওয়া উচিত নয়।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক আগে থেকেই একমত বলে জানিয়েছেন নুর। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নির্বাচন বাতিল করা দরকার। গত আট মাসে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় সেবা পেতে মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কিছু মানুষ জোর করে আধিপত্য বিস্তার করছে। সে জন্য স্থানীয় নির্বাচন কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। আবার জাতীয় ঐকমত্যেরও প্রয়োজন। অন্তত তার আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। বাংলাদেশ এমন রাষ্ট্র হবে, যেখানে ইসলামী আদর্শবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা হবে না।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন। এছাড়া গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।