কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অঞ্চলটির সাম্প্রতিক শান্ত পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।

এই পর্যটন এলাকাটি মুহূর্তেই রক্তাক্ত বিভীষিকার স্থলে পরিণত হয়েছে। এতে করে পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

হামলার সময় বন্দুকধারীরা ঘন পাইন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

হামলার শিকার হওয়া লোকজন তখন পিকনিকের মেজাজে ছিলেন। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছিলেন।

হামলার পরপরই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, এর ‘কড়া ও স্পষ্ট জবাব’ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তানের বিরোধ আরও যেভাবে বাড়ছে২৫ মার্চ ২০২৫

‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের স্বল্প পরিচিত একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তবে ভারত মনে করছে, এই গোষ্ঠী আসলে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা বা এমনই অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের ছদ্মনাম।

পাকিস্তান অবশ্য জঙ্গিদের কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা বলছে, কাশ্মীরিদের ‘স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে’ তারা নৈতিকভাবে সমর্থন করে।

এই নির্বিচার হত্যার ঘটনায় আবারও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূখণ্ড কাশ্মীর নিয়ে তিনটি যুদ্ধ করেছে।

এর বাইরে বেশ কয়েকবার তারা যুদ্ধের কাছাকাছি অবস্থানে গিয়েছে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পর ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকেরা নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদের বিরুদ্ধে নাটোরে অস্ত্র মামলা

ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ