কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এরপরই ইমেইলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি পেলেন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ও সাবেক তারকা ওপেনার।

‘আইসিস কাশ্মীর’ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন ইমেইলের মাধ্যমে এই হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দুইবার ইমেইল পেয়েছেন গম্ভীর। বার্তা ছিল একটিই- ‘আই কিল ইউ’, অর্থাৎ ‘আমি তোমাকে হত্যা করব’।

বুধবার দুপুরে প্রথম ইমেইলটি পাওয়ার পর বিকেলেই আসে দ্বিতীয়টি। এ ঘটনায় গম্ভীর দ্রুতই দিল্লির রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি সেন্ট্রাল দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি)-কেও জানান ঘটনার বিস্তারিত।

গম্ভীর পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তার এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ইমেইল পাঠানো হয়েছে এবং কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গম্ভীর বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের কোচ হলেও তার রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি দলটির সক্রিয় সদস্য। পুলিশের ধারণা, এই রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই হিটলিস্টে থাকতে পারেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও গম্ভীর হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। তখনও থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গম ভ র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল-দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)-তে অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরে বাকখালী নদীর দখল দূষণ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না। বর্তমান সরকার সীমিত সময় বিবেচনায় কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছি।

তিনি জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে, সেটিও বন্ধ করা হচ্ছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ ২০ একর জমি ফেরত আনা হচ্ছে। এছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ