শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কুয়েটের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইসঙ্গে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য় ট উপ চ র য পদত য গ উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রিশ্চিয়ানো নয়, রোনালডো নাজারিওকেই শ্রেষ্ঠ ভাবেন ব্যাপতিস্তা

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা কে, ব্রাজিলিয়ান রোনালডো নাজারিও নাকি পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো? এই বহুচর্চিত বিতর্কে এবার মুখ খুলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জুলিও ব্যাপতিস্তা। তার স্পষ্ট বক্তব্য, দীর্ঘ ক্যারিয়ারের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও গুণগত মানে ব্রাজিলিয়ান রোনালডো ছিলেন ‘অতুলনীয়’। এমনকি তিনি বলেন, ‘রোনালডো (আর৯) যা করেছেন, তা সত্যিই পাগলামি!’

ইতালীয় গণমাধ্যম ফুট ইটালিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্যাপতিস্তাকে প্রশ্ন করা হয়: ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি ব্রাজিলিয়ান রোনালডো, কে সেরা স্ট্রাইকার?

জবাবে ব্যাপতিস্তা বলেন, ‘দুজনই ভিন্ন সময়ে অসাধারণ ছিলেন। তবে স্থায়ীত্বের দিক থেকে নিঃসন্দেহে ক্রিশ্চিয়ানো এগিয়ে। কিন্তু যেটা আমি ব্রাজিলিয়ান রোনালডোর কাছ থেকে দেখেছি, বিশেষ করে চোট পাওয়ার আগের সময়টায়-সেটা কেউ কখনো করেনি। ও যা করত, তার জন্য ওর প্রাপ্য যথাযথ শ্রদ্ধা। সেটা ছিল একেবারে ‘সত্যিই পাগলামি’। তাই আমি আমার দেশের লোককে এগিয়ে রাখব।’

রোনালডো নাজারিও, যিনি ‘আর৯’ বা ‘ফেরেনোমেনো’ নামে পরিচিত, মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হন, পরে নিজে দলের মূল ভরসা হয়ে জেতেন ২০০২ বিশ্বকাপ। তিনি দুইবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। অন্যদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ক্যারিয়ারে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, পর্তুগালকে জিতিয়েছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।

এই প্রসঙ্গে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান রোনালডো নিজেও নিজের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এই সেরা হওয়ার বিতর্কে আমি ঢুকতে চাই না। মানুষ নিজের প্রশংসা নিজেই করতে খুব পছন্দ করে। আমি চাই মানুষ আমার পারফরম্যান্স আর ক্যারিয়ার দেখে বিচার করুক। ক্রিশ্চিয়ানো অসাধারণ খেলোয়াড়, সে সবকিছু জিতেছে। কিন্তু আমি তাকে সর্বকালের সেরা বলবো না। অবশ্যই সে ইতিহাসের অন্যতম সেরা, তবে সবার সেরা নয়।’

এ সময় নিজের করা সেরা ফুটবলারের তালিকাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘পেলে নিঃসন্দেহে নাম্বার ওয়ান। তারপর মেসি ও ম্যারাডোনা দুজনকেই একসঙ্গে রাখি। এরপর জিকো, রোমারিও, ক্রিশ্চিয়ানো, ফিগো, রিভালদো, রোনালদিনহো, ভ্যান বাস্তেন, জিদানসহ অনেকেই আছেন। এই তালিকা আমি বারবার বদলাই। তবে পেলে, মেসি আর ম্যারাডোনা এই তিনজনই আমার কাছে চূড়ান্ত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ