পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে রোমে যাবেন
Published: 24th, April 2025 GMT
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের দোহা থেকে সরাসরি ইতালির রাজধানী রোমে যাবেন।
আগামীকাল শুক্রবার অধ্যাপক ইউনূসের রোমের উদ্দেশ্যে দোহা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তিনি চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখন দোহায় অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এসব তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ছিল। বন্ধুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
আরও পড়ুনপোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা২৩ এপ্রিল ২০২৫আগামী শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
শফিকুল আলম জানান, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার বাইরে প্রধান উপদেষ্টার অন্য কোনো ধরনের বৈঠক সেখানে নেই। আগামী রোববার তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার ভ্যাটিকানে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি গত ১২ বছর রোমান ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুনপোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কবে, কোথায় জানাল ভ্যাটিকান সিটি২২ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্প, জেলেনস্কিসহ যেসব বিশ্বনেতা পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছেন২৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প প ফ র ন স স র অন ত য ষ ট ক র য় য় য র অন ত য ষ ট ক র য় য় য গ দ
এছাড়াও পড়ুন:
নোমানী হত্যার আসামিকে কোপানোর দৃশ্য ভাইরাল, জড়িতরা অধরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০) গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নগরের পঞ্চবটী এলাকার খড়বোনার গাড়োয়ানপাড়ায় এ হামলা করা হয়। পরে ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রবি বাড়ির পাশে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ফেলে। তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকেন। দৌড়াতে গিয়ে রবি হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। তখন ফের ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো হয়। একপর্যায়ে একজন হামলাকারী কাছ থেকে তার পায়ে গুলি করেন। হামলার সময় কাতরাতে কাতরাতে রবি বলছিলেন, ‘‘ও বাপ, ও মা, আমি কী করেছি?’’ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারী এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও গুলির শব্দ শুনে সরে যান। আশপাশ থেকে নারীদের চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
আহত রবিকে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে তাকে ভর্তি করা হয় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। রাতেই অস্ত্রোপচার শুরু হলেও অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
শিবিরনেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম
ফেনীতে বিএনপি কর্মীকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৫
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবির এক পায়ে গুলি লেগেছে। তার অন্য পা ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। অস্ত্রোপচার শুরু হলেও পরিবারের ইচ্ছায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত রবির বাড়ি নগরের বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। রবি আওয়ামী লীগের কর্মী। তার ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবির বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার নাম রয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত জড়িতদের শনাক্ত বা আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, হামলার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা ফিরে এসে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী। এই মামলার অন্যতম আসামি রবি গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
রবির ভাই শহিদুল ইসলাম ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হন এবং পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন শহিদুল ইসলাম। সেদিন কয়েকজন যুবক তার দুই পায়ের রগ কেটে দেন। হামলায় আহত হন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও মির্জাপুর নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হোসেন এবং যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল