বয়স ৩০ হলে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পারেন
Published: 24th, April 2025 GMT
৩০ বছর বয়সে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। এক জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পথ যেমন পাড়ি দিয়ে দেয় আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে। থাকে সুনির্দিষ্ট গন্তব্য। আর গন্তব্যে পৌঁছাতে মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত সম্পর্কগুলো কীভাবে এগিয়ে নেবে সেই বিষয়ে করণীয় ঠিক করে নেয়। বয়স ৩০ হলে যে যে বিষয়ে গুরুত্ব দিলে আপনার গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হতে পারে—
জেনে নিন।
নিরব থাকতে শিখুন: নিরবতা অপ্রয়োজনীয় নাটকীয়তার থেকে ভালো।
আপনার চেয়ে এগিয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে কাজ করুন: আপনার চেয়ে এগিয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে কাজ করুন কিন্তু প্রতিযোগিতা করবেন না। প্রতিযোগিতা এক ধরনের দুর্বলতা।
আরো পড়ুন:
স্বপ্নপূরণে যে পরামর্শ দিলেন শাহরুখ খান
ষাটের দশকের হেঁশেলের চিত্র ‘খাদ্যবিলাস’
পরিবার গড়ে তুলুন: নিজের পরিবার গড়ে তুলুন। পরিবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জীবন ও সমাজের জন্য। তা ছাড়া আপনি নিজেও কোনো না কোনো পরিবার থেকেই এসেছেন।
শুধুমাত্র বেতনের জন্য কাজ করবেন না: যে কাজটি করছেন সেখানে যদি কোনো মূল্যায়ন না থাকে, যদি কাজটি আপনার স্বপ্নের বিপরীত সেই কাজ থেকে সরে যেতে পারেন। বিশেষ করে কাজটি যদি আপনার স্বপ্নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনার সরে যাওয়া উচিত।
কাউকে অকারণে পরামর্শ দিতে যাবেন না: আপনি যাকে পরামর্শ দিতে যাচ্ছেন তিনি হয়তো আপনার সম্পর্কে ভালো জ্ঞানই রাখেন না। সুতরাং আপনার পরামর্শ তার কাছে গুরুত্বহীন হতে পারে।
অহংকারী বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন: যারা আপনার প্রাপ্তি উদযাপন করতে পারেন না, আপনার প্রাপ্তিতে খুশি হয় না এমন বন্ধু থেকে দূরে থাকুন। বরং সেই বন্ধুকে সময় দিন, যে বন্ধু আপনাকে সাহস ও প্রেরণা দেয়।
বাবা-মাকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন: এই বয়সে এসে জীবনে কি পেয়েছেন আর কি পান নি সেই বিষয়ে বাবা মাকে দোষারোপ করবেন না। নিজেই আত্মনির্ভলশীল হোন।
উল্লেখ্য, ৩০ বছর বয়স জীবনের এমন একটি স্তরে আমাদেরকে পৌঁছে দেয়, এই বয়সে এসে শুধু সফল হওয়ার উপায় খুঁজে লাভ নেই বরং সফল হওয়ার জন্য কাজ শুরু করা উচিত। আপনি যদি কাজ শুরু করার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন তাহলে আপনার পুরো জীবনেও সেই সময় খুঁজে পেতে নাও পারেন। জীবনে যা হারাবেন তার কোনো কিছুই ফেরত আসবে না।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র প আপন র স পর ব র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার ডিএসসিসির ওয়ার্ড সচিব
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২ নম্বর অঞ্চলের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেলকে ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ টিম। আজ বুধবার দুপুরে ঘুষের টাকা গ্রহণের সময় দুদকের ফাঁদ অভিযানে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ঘুষের টাকাসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নির্মাণাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালুর জন্য সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আবেদনপত্র দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ত্রুটি না পেলেও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সচিব সোহেল হুমকি দেন যে, দাবি করা ঘুষের টাকা না দিলে তিনি কোনোভাবেই ছাড়পত্র দেবেন না।
তিনি আরও জানতে পারেন যে কুতুবউদ্দিন সোহেল আগত সব সেবাপ্রার্থীর কাছ হতেই ছাড়পত্র প্রদান বাবদ ঘুষ হিসেবে এরুপ টাকা গ্রহণ করে থাকেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনতেই মো. সাইফুল ইসলাম কৌশলগতভাবে টাকা দিতে সম্মত হন।