ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাশেম (৫৫) নামে খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার নোয়াখালী ও সোনাগাজীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তার হোসেন (৩৫), রাকিব (২৫), সোলেমান (৪৫), শেখ রাসেল (৩০), শিপন (৩০), বেলায়েত হোসেন (৩০) ও আবুল হোসেন (৪৬)।

পুলিশ সূত্র জানায়, চার বছর আগের বিরোধের জেরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত। মঙ্গলবার ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকায় বোরকা পরা একদল দুর্বৃত্ত আবুল হাসেমের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সেখানে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তারা। পরে তাকে সড়কে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সোনাগাজীর চরদরবেশ ও নোয়াখালীর চরজব্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া বেলায়েত হোসেনকে দাগনভুইয়া থেকে এবং আবুল হোসেনকে চর দরবেশ গ্রাম থেকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। আক্তার ও রাকিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে তিনটি বোরকা, রক্তমাখা দুটি লোহার রড, একটি দা ও ওড়না উদ্ধার করে পুলিশ।

এ দিকে নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ হত য গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে বিএনপি কর্মীকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৫ 

ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাসেম (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে নোয়াখালী ও অন্য চার আসামিকে সোনাগাজীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, মূল পরিকল্পনাকারী আক্তার হোসেন (৩৫), রাকিব (২৫), সোলেমান (৪৫), শেখ রাসেল (৩০) ও শিপন (৩০)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের দেওয়া তথ্যে তিনটি বোরকা, রক্তমাখা দুটি লোহার রড, একটি দা, একটি ওড়না ও তিন প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।

দিনে-দুপুরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সোনাগাজীসহ পুরো ফেনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, ‘‘এই নৃশংস হত্যার দ্রুত বিচার চাই। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়, প্রশাসনকে সেই বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

রাউজানে যুবদল কর্মীকে মাথায়-বুকে গুলি করে হত্যা

চরদরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘এ ধরনের নির্মম হত্যার ঘটনায় শুধু নিন্দা নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে আইনের সহযোগিতা করতে হবে, যেন কেউ রেহাই না পায়।’’

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন জানান, হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। চার বছর আগের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকার কাছে আবুল হাসেমের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে মহিষের দুধ সংগ্রহে যেতেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বোরকা পরা একদল দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। তাকে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাত ও পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাকে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা।

ঘটনার দিন নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সোনাগাজী, চরদরবেশ ও নোয়াখালীর চর জব্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নতুন সওদাগর হাট জামে মসজিদ মাঠে আবুল হাসেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। 

ঢাকা/সাহাব/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেনীতে বিএনপি কর্মীকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৫