খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই প্রতীকী অনশন হয়। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র যুব আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ অংশ নেয়।

এ সময় বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন বলেন, ‘কুয়েটের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা সংহতি জানাই। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলনে আসেন, তখনই তাদের ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্বারা মারধর করা হয়। তাহলে আমরা কার কাছে নিরাপদ? কার জন্য দেশ থেকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছিলাম। আমরা নিরাপদ কুয়েট ক্যাম্পাস চাই, যেখানে আমাদের ভাইবোনরা পড়াশোনা করবেন।’

আরও পড়ুনকুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি এনসিপির২২ ঘণ্টা আগে

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘যে শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারকে বিদায় করলো সেই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করল, তাঁদের নামে মামলা হলো। আমরা অনতিবিলম্বে কুয়েট ভিসি মাছুদের পদত্যাগের দাবি জানাই। যাঁদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা বাদ দিতে হবে।’

আরও পড়ুনকুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হলও খুলেছে৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার কথা বলার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। তিনি শিক্ষার্থীদের বারবার অনুরোধ করলেও ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘‘তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতি শিগগির কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই, কারণ তা আদালতে টেকে না।’’

আরো পড়ুন:

কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা, কথা বলছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে

৪০ ঘণ্টা অনশনে, অসুস্থ কুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দুইমাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু, আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না। আমরা এই বিষয়ে আর সময় দিতে চাই না। আমরা লাশ হয়ে গেলেও ভিসির পদত্যাগ ছাড়া অনশন ভাঙব না।

এর আগে, গত সোমবার বিকেল ৪টা থেকে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ৩২ জন শিক্ষার্থী।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হলেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতপরিচয়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে শুধু দায়সারা একটি মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো হামলার ঘটনায় বহিরাগত একজন বাদী হয়ে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মামলায় ছাত্রদের ব্যক্তিগত পরিচয়, বিভাগ ও রোল নম্বর যেভাবে নিখুঁত বর্ণনা করা হয়েছে তা কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না। এরপর কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যের কাছে বারবার দাবি জানালেও তিনি দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেননি।

গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। দুই রাত খোলা আকাশের নিচে থাকার পর ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে ঢোকেন তারা। কিন্তু হলে খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। এসব ঘটনায় উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  
  • কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত
  • কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হবে
  • উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কুয়েটে কাফিন মিছিল
  • ‘মার্চ ফর কুয়েট’ এর হুশিয়ারি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের
  • কুয়েটে ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হলও খুলেছে
  • ‘কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে’
  • কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন
  • শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা