বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয়
Published: 23rd, April 2025 GMT
সেই পুরনো বৃত্তে ডিপিএল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। অথচ অজানা কারণে কমিয়ে দেওয়া হয় তার নিষেধাজ্ঞা। কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কমল তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা।
‘বিতর্কিত’ ওই হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ডিপিএলের সুপার লিগে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও ১০ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪৭.
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ১৬ বল থাকতে ২৪৯ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার কমল ১০০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। পারভেজ ইমন ও মিডলে মেহরব হোসেন ৪৫ করে রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ৫১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস।
দলের অন্যরা ব্যর্থ হওয়ায় হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শামসুর রহমান ২৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দিতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩টি এবং রিপন মন্ডল ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লিড একশ’ হওয়ার আগে থামল জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ‘মানসিক ভুলের’ ধারা ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। একের পর এক ভুলে ব্যাটিং বান্ধব সিলেটের উইকেটে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে। দারুণ শুরু করার পর তাদের ৮২ রানের লিডে আটকাতে পারাও যেন বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়: টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ব্যর্থ হন। সাদমান ইসলাম ১২ ও মাহমুদুল জয় ১৪ রান করে ফিরে যান। ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনে নামা মুমিনুল হক ও চারে নামা নাজমুল শান্ত সেট হয়ে ফিরে যান। শান্ত ৪০ রান করেন। মুমিনুল ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে দেন। জাকের আলী ২৮ ও হাসান মাহমুদ ১৯ রান যোগ করেন।
মুজুরাবানি-মাসাকাদজার দাপট: বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দাপট দেখান জিম্বাবুয়ের বোলার ব্লেজিং মুজুরাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তারা দু’জন তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন নায়োচি ও মেধেভেরে।
জিম্বাবুয়ের দাপুটে শুরু: জিম্বাবুয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান যোগ করে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৬৭ রানে কোন উইকেট হারায়নি তারা। দ্বিতীয় দিন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ৫৭ করে আউট হন। শন উইলিয়ামস ৫৯ রান যোগ করেন। মেধেভেরে ২৪ ও উইকেটরক্ষক নায়াশা মায়োভি ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। এনগ্রাভা ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম সেশন রানার ও মিরাজের ফাইফার: বাংলাদেশ দলের বা হাতি স্পিনার মেহেদী মিরাজ ২০.২ ওভার বোলিং করে ৫২ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে হাত থেকে পুরোপুরি ফসকে যেতে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরান পেসার নাহিদ রানা। তিনি প্রথম চার উইকেটের তিনটিই দখল করেন।