টিকটকে বিরোধ: যশোর থেকে কালীগঞ্জে গিয়ে ২ কিশোরকে ছুরিকাঘাত
Published: 23rd, April 2025 GMT
টিকটকে বিরোধের জেরে যশোর থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গিয়ে দুই কিশোরকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রিয়াজ হোসেন ও জিহাদ নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে ঘটনাটি ঘটে। কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইফতেখার আনোয়ার প্রেম (১৫) ও তার বন্ধু মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিব হিমেল (১৫)। তারা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
সালিশে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন
আটক রিয়াজ ওরফে ট্যাটু রিয়াজ যশোর পুলিশ লাইন এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে। অপর জনের নাম জিহাদ। ঘটনার সঙ্গে সম্পক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে কালীগঞ্জের হিমেল ও যশোরের রিয়াজ একে অপরকে হুমকি দিতেন। এরই জেরে যশোর থেকে রিয়াজ ও তার এক বন্ধু কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল কলোনীতে যান। তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। পরে তারা মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে যান।
সেখানে রিয়াজ ও হিমেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে পকেট থেকে ছুরি বের করে হিমেলকে জখম করেন রিয়াজ। ইফতেখার আনোয়ার প্রেম ঠেকাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন রিয়াজকে ছুরিসহ আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় হোসেন বলেন, “আজ বিকেলে ছোটভাইদের সঙ্গে স্কুল মাঠে বসে ছিলাম। এসময় হিমেল সেখানে আসে। যশোর থেকে আসা দুই যুবক এসে হিমেলের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঠেকিয়ে দিলে যশোর থেকে আসা যুবকরা মিলের মধ্যে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। এরপর আবার ফিরে এসে হিমেলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন রিয়াজ। তখন তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়াজ পকেট থেকে ছুরি বের করে চালাতে থাকেন। দেখি, হিমেল ও প্রেমের পায়ে ছুরির আঘাত লেগেছে। তাদের পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “আটক রিয়াজের কাছ থেকে একটি চায়না ছুরি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় আটক অপর যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত আটক ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
টিকটকে পরিচয় থেকে বিয়ে, এরপর হঠাৎ 'নিখোঁজ' স্বামী
টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মৌলভীবাজারের এক তরুণের সঙ্গে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ। পরে স্বামীর খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন ভুক্তভোগী। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাননি। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটকে গত জানুয়ারিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল ওয়াকিব চট্টগ্রামে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব। গত ১৫ এপ্রিল নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ওয়াকিব। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন ওই তরুণী। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকিবের বাড়ির সন্ধান পেলেও স্বামীকে পাননি। পরে তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। তরুণীর দাবি, তার স্বামীকে পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীর বাড়িতে লুকিয়ে রেখে রেখেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামীর সন্ধান পেতে বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে রয়েছেন।
ওয়াকিবের বাবা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাটারাই গ্রামের কয়েকজন জানান, গত রোববার বিকেলেও ওয়াকিবকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছেন তিনি।