বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুমার শরৎকুমার রায়ের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কুমার শরৎকুমার রায় ১৮৭৬ সালের ২২ এপ্রিল নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়িতে (বর্তমানে উত্তরা গণভবন) জন্মগ্রহণ করেন।

জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো.

মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী হেরিটেজের সভাপতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ওয়ালিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম, মাহমুদ জামাল কাদরী, কবি মোস্তাক রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক উদয় শঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তাঁর বক্তব্যে বলেন, শরৎকুমার রায় যে কাজ করেছেন, তা কালোত্তীর্ণ। সময়কে অতিক্রম করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই জাদুঘর একটি বিশাল সম্পদ। আমরা ঠিকমতো সদ্ব্যবহার করতেই পারছি না।’

অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, জাদুঘরকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট করতে চায়; যেখানে প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস গবেষণা, প্রাচীন শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা হবে।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক কুমার শরৎকুমার রায়ের শিক্ষা ও কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত সুধীজন কুমার শরৎকুমার রায়ের অবদান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। কবি মোস্তাক রহমান বলেন, এ রকম একজন আলোকিত মানুষের নামে রাজশাহী অঞ্চলে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। তাঁকে মূল্যায়ন করতে হলে অন্তত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল অথবা প্রস্তাবিত কোনো একটি ইনস্টিটিউট তাঁর নামে করা উচিত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন জ দ ঘর রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বরেন্দ্র জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা শরৎকুমার রায়ের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুমার শরৎকুমার রায়ের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কুমার শরৎকুমার রায় ১৮৭৬ সালের ২২ এপ্রিল নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়িতে (বর্তমানে উত্তরা গণভবন) জন্মগ্রহণ করেন।

জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী হেরিটেজের সভাপতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ওয়ালিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম, মাহমুদ জামাল কাদরী, কবি মোস্তাক রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক উদয় শঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তাঁর বক্তব্যে বলেন, শরৎকুমার রায় যে কাজ করেছেন, তা কালোত্তীর্ণ। সময়কে অতিক্রম করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই জাদুঘর একটি বিশাল সম্পদ। আমরা ঠিকমতো সদ্ব্যবহার করতেই পারছি না।’

অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, জাদুঘরকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট করতে চায়; যেখানে প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস গবেষণা, প্রাচীন শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা হবে।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক কুমার শরৎকুমার রায়ের শিক্ষা ও কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত সুধীজন কুমার শরৎকুমার রায়ের অবদান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। কবি মোস্তাক রহমান বলেন, এ রকম একজন আলোকিত মানুষের নামে রাজশাহী অঞ্চলে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। তাঁকে মূল্যায়ন করতে হলে অন্তত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল অথবা প্রস্তাবিত কোনো একটি ইনস্টিটিউট তাঁর নামে করা উচিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ