রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি
Published: 23rd, April 2025 GMT
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, ইবির আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
রাসূল (সা.
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (সা.) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রকম এক মহামানবকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন বা কোন নাটক মঞ্চস্থের মধ্যে দিয়ে বিচারকে বিলম্বিত করা যাবে না। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই মোজাম্মেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে।
মোজাম্মেল হককে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।পুলিশ মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভাগের নিকট তার বহিষ্কারের দাবি জানালে তদন্তে কমিটি গঠন করে বিভাগটি।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে হাতুড়ি পিটায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু : লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন
রূপগঞ্জে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির ফেইসবুক লাইভে এসে বিএনপি নেতা শান্ত সরকারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখমের ঘটনায় ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শান্ত সরকার হত্যার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কের কালনী এলাকায় লাশ দাফনের আগে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী পরিবার সহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা কহিনুর বেগম, বাবা জসিম সরকার, চাচা সালাউদ্দিন সরকার, মামা শাহীন সরকার, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন আকন্দ, হুমায়ূন কবির মিঠু সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের নেতৃত্বে নাঈম ফকির, রানা ফকির, সিয়াম, অলিউল্লাহ, হাবিবুল্লাহ, অনিক ফকির, এনায়েত ফকির, রাজিব, শাহীন সহ একদল সন্ত্রসীরা গত ১১ এপ্রিল বিকেলে ফেইসবুক লাইভে এসে অন্যায় ভাবে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে শান্ত সরকারকে গুরুত্বর জখম করে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রাতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় শান্ত মারা যাওয়ার আগে ১২জন আসামী জামিনে বেরিয়ে আসে। তবে, শান্ত নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের ও আসাদ ফকির সহ সকল আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শান্তর লাশ দাফন করা হবে না এবং মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকার হুশিয়ারি দেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভকারীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সকাল ১১টার দিকে নিহত শান্তের লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তবে, যেহেতু শান্ত মারা গেছে তাই মামলাটিতে হত্যা মামলার ধারা যুক্ত করা হবে এবং আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।