সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমজনতার দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা করেছে কমিশন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত মতামত নেওয়ার পর গত ২০ মার্চ দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা শুরু করে কমিশন। ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এই দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে তিন দিন আলোচনা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গেও এক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি। তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এখনো ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা এখনো হয়নি।

আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমজনতার দলের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দলগ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলোর উদ্দেশ্য বাংলাদেশ যেন এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে করে পুনরায় কোন অবস্থাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। 

সোমবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলী রীয়াজ বলেন, যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, জনগণ যেন বুঝতে পারে তাদের অধিকার সুরক্ষিত আছে। তার প্রেক্ষাপটে সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ বিভিন্নক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফ্যাসিবাদী আমলের নিপীড়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। যেন আমরা সকলে মিলে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি কাউকে এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্যে না যেতে হয়। সবাই যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারেন।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, মানুষ যেন কথা বলতে পারেন, জীবনাচরণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হয়। গুমের শিকার না হয়। বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। অন্যায়ভানে নির্যাতিত না হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে প্রত্যোককে তাদের অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলের নাম নিয়ে আমজনতা ও আ-আমজনতার ভাবনা
  • সুস্থ শিল্প-সম্পর্ক স্থাপনে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য
  • বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে তৃতীয় দফায় বিএনপির বৈঠক চলছে
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফার বৈঠক শুরু
  • বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
  • ঐক্য-অনৈক্যের রাজনীতি ও ক্ষমতার ভারসাম্য
  • মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নয় বহুমত চায় খেলাফত 
  • কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে: আলী রীয়াজ