কেন্দ্র সচিব পদে আ’লীগ নেতা, তিন পরীক্ষার পর অব্যাহতি
Published: 23rd, April 2025 GMT
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এসএসসি পরীক্ষায় ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ইব্রাহীমকে ওই বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সমালোচনার মুখে গতকাল মঙ্গলবার তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী ইউএনও হাসান বিন মুহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে তাকে উপজেলা ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সভায় কেন্দ্র সচিব কামরুল ইসলাম ইব্রাহীমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.
নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাবনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে কেন্দ্র সচিব করায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে কেন্দ্র কমিটির সভায় কামরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্র সচিব মো. কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম সমকালকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলা ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে তিনি তিনটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন। পরে অসুস্থতার অজুহাতে তাকে কেন্দ্র সচিব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে কারও ক্ষতি করেননি তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, এসএসসি ভোকেশনাল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব কামরুল ইসলাম ইব্রাহীম অসুস্থ। তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন। এ কারণে তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ পর ক ষ উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আগৈলঝাড়ায় র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় র্যাব-৮-এর মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৮-এর ডিএডি শেখ রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এতে পলাতক দু’জনসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলো বন্ধ রয়েছে।
বরিশাল র্যাব-৮-এর মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গত সোমবার সন্ধ্যায় গোলাগুলির সময় উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের রিপন মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লার (১৮) নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হন একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা। মাদক কারবারিদের হামলায় আহত হন র্যাব সদস্যসহ তিনজন।
নিহত সিয়াম মোল্লার চাচাত বোন কলেজছাত্রী মীম আক্তার জানান, সিয়াম কারফা আইডিয়াল কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সোমবার সে সারাদিন ঘরেই ছিল। বিকেলে মামাত ভাই রাকিব মোল্লাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমরা এ সংবাদ পাই। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সিয়ামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়নি। তার মা জোসনা বেগম ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ রাকিব মোল্লার সহপাঠী আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা সাহেবের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বারপাইকা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছি। সোমবার রাকিব আর আমি একই সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছি। সন্ধ্যায় শুনি রাকিব গুলিবিদ্ধ হয়।’
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পার্শ্ববর্তী রশিদ হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদারের পরিত্যক্ত বাড়িতে মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসত। বর্তমানে ওই বাড়িতে তাঁর পরিবার থাকায় মাদকসেবীরা সেখানে বসতে পারছে না।
র্যাবের মামলার প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গোলাগুলির ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় পৃথক মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।