মিরাজ ম্যাজিকের পরও হারের লজ্জা বাংলাদেশের
Published: 23rd, April 2025 GMT
চাওয়া এভাবে ফলে যাবে সম্ভবত ভাবেননি জিম্বাবুয়ের ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার পেসার ব্লেজিং মুজুরাবানি। তৃতীয় দিন শেষে তিনি বলেছিলেন, দুইশ’র নিচে লক্ষ্য রাখতে চান তারা। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৭৪ রানের সেশন ছোঁয়া দূরত্বে লক্ষ্য পায় তারা। দারুণ ওপেনিং জুটিতে ওই রান সহজও করে ফেলেছিল সফরকারীরা। কিন্তু মেহেদী মিরাজ ঘূর্ণির ম্যাজিকে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। তার ওই ঘূর্ণি মাড়িয়ে ৩ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতিকে শোকজ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা বিএনপি। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের থেকে অভিনন্দন গ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ তাঁকে এ শোকজ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল মান্নানকে এ ব্যাপারে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজের চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি বোদা উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দ্বারা আপনাকে অভিনন্দিত করার সম্মিলিত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দলের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এহেন শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর পর গত শনিবার বোদা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আবদুল মান্নান সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বোদার ময়দানদীঘি ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত সোমবার সন্ধ্যায় বোদা উপজেলা শহরের ফ্রেন্ডস ক্লাবে বসেন আবদুল মান্নান। তিনি ওই ক্লাবের বর্তমান সভাপতি। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ায় ক্লাবের সদস্যরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ওই ক্লাবের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে শোকজ করে জেলা বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১৯৮৩ সালে নবম শ্রেণির বন্ধুরা মিলে ফ্রেন্ডস ক্লাব করেছিলাম। সেখানে বন্ধুদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দলের অনেকে আছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় আমি ক্লাবে বসলে অনেকেই আমার সঙ্গে কোলাকুলিসহ হাত মেলান। এ সময় সদস্যরা আমাকে ফুলও দেন। এখানে হয়তো অন্য দলেরও লোক ছিলেন। ওই ছবি কে নাকি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ এডিট করেও ছাড়তে পারেন।’ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শোকজের চিঠিটি তিনি হাতে পেয়েছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য এই নোটিশ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।