বন্ধ হয়ে গেছে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’
Published: 23rd, April 2025 GMT
ঝালকাঠিতে অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’ বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ে অবস্থিত এই হোটেলটি গত এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কী কারণে হোটেলটি বন্ধ হলো সে বিষয়ে স্থানীয়রা কিছু জানাতে পারেননি। মালিক বলছেন, ঠিকাদারির ব্যবসা শুরু করায় তিনি হোটেলটি চালাতে পারছিলেন না।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঝালকাঠিতে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে’ ভিড় শিরোনামে পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসী জানান, ঝালকাঠি পৌর শহরের বাসিন্দা ইমন চৌধুরীর একসময় হার্ডওয়ারের দোকান ছিল। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে তার ঠিকাদারি ও ব্যবসায়ের অবস্থা তেমন একটা ভালো যাচ্ছিল না। পরে তিনি সবার পরামর্শ নিয়ে পৌর শহরের ব্রাকমোড়ে ভাতের হোটেল চালু করেন। হোটেলের নাম দেন ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’। এই নামের কারণে হোটেলটি ভাইরাল হয়েছিল। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন হোটেলটিতে খাবার খেতে।
ব্র্যাকমোড় এলাকার বাসিন্দা জাকির সরদার বলেন, “হাউন আঙ্কেল নামে একটি ভাতের হোটেল চালু হওয়ার পরপরই ভাইরাল হয়। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এখানে ছুটে আসতেন ভাত খেতে। গত একমাস ধরে হোটেলটি বন্ধ রয়েছে।” কী কারণে হোটেলটি বন্ধ হয়ে গেছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
হোটেলটির মালিক ইমন চৌধুরী বলেন, “হাউন আঙ্কেল’ নাম দেওয়ার কারণে ভাইরাল হয় হোটেলটি। খুব ভালো চলছিল আমার এই হোটেল। আমি পুনরায় ঠিকাদারি কাজ শুরু করেছি, যে কারণে হোটেলটি চালাতে পারছি না। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সব মিলিয়ে আমি হোটেলটি চালু রাখতে পারিনি।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগে স্থানীয় নির্বাচন চান চরমোনাই পীর ও ভিপি নূর
জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে দল দুটির বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতেও ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।
রেজাউল করীম বলেন, গত ৫৩ বছরে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে অযোগ্য লোকজন ক্ষমতায় বসে দেশকে অশান্ত করেছিল। সে জন্য আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে একমত হয়েছি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক বলেন, কিছু মৌলিক সংস্কার না হলে দেশে আবার স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শাসন তৈরি হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্মম গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছি। তাদের রাজনীতির সুযোগ পাওয়া উচিত নয়।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক আগে থেকেই একমত বলে জানিয়েছেন নূর। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নির্বাচন বাতিল করা দরকার। গত আট মাসে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় সেবা পেতে মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কিছু মানুষ জোর করে আধিপত্য বিস্তার করছে। সে জন্য স্থানীয় নির্বাচন কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। আবার জাতীয় ঐকমত্যেরও প্রয়োজন। অন্তত তার আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। বাংলাদেশ এমন রাষ্ট্র হবে, যেখানে ইসলামী আদর্শবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা হবে না।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন। এছাড়া গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।