কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলেছে সাত হল
Published: 23rd, April 2025 GMT
কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ৭ হল খুলে দেওয়া হয়েছে। কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় আজ বুধবার বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কুয়েটের একজন কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতার কাছে ছাত্রদল নেতার চাঁদা দাবি, বালুমহালে হামলার অভিযোগ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও বালুমহালের মালিকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে। চাঁদা না পাওয়ায় আজ বুধবার দুপুরে রবিউলের লোকজন বালুমহালে হামলা চালিয়ে আটজনকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকার বলাকা ইন্টারন্যাশনাল বালুমহালের অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বালুমহালের মালিক মোবিনুর রশীদ চৌধুরী (৪৫), তাঁর ভাই আমিনুর রশীদ চৌধুরী (৪৪), মোহাম্মদ নাছির (৪৫), মো. হোসেন (৩৫), বালুমহালের ব্যবস্থাপক মো. লিটন (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), চালক মো. সাদ্দাম (৩০) ও রবি (৩৫)।
বালুমহালের মালিক মোবিনুর রশীদ চৌধুরী বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি, তাঁর ভাই আমিনুর রশীদ চৌধুরী ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং মোহাম্মদ নাছির ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে বালুমহালের মালিক মোবিনুর রশীদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন আট-নয়জন যুবক। তাঁদেরকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন পাঠিয়েছেন জানিয়ে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন মোবিনকে। ওই সময় মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রবিউল। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
মোবিনুর রশীদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৫০-৬০ জন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে বালুমহালে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করেন এবং লোকজনকে মারধর করেন। এ সময় হামলাকারীরা চাঁদা না দিলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেন। ওই সময় আটজন আহত হন।
মোবিনুর রশীদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছেন তাঁর লোকজন।’
তবে অভিযোগটি পুরোপুরি অস্বীকার করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি এ বিষয়ে অবগত নই, আমি বিষয়টি এইমাত্র শুনলাম।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বালু বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে এক পক্ষ হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’