বিদ্যালয়ের কক্ষে ১৬ বাসিন্দাকে বেঁধে রেখে ডাকাতি
Published: 23rd, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে ১৬ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যাঁদের বেঁধে রাখা হয়, তাঁদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মুঠোফোন, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ ছাড়া বিদ্যালয়টির পাশে অবস্থিত তিনটি বসতঘর থেকে চারটি গরু ডাকাতি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখছড়ি বাকের আলীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১৫ সদস্যের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রাতে একটি জিপ নিয়ে এলাকায় আসে। তখন গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। কিছু বাসিন্দা পাশের গ্রামে আয়োজিত কবিগানের আসর থেকে ফিরছিলেন। এসব বাসিন্দার মধ্যে ১৬ জন গ্রামে ফেরার সময় কয়েক ধাপে ডাকাত দলের সামনে পড়েন। ডাকাত দল ওই বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে স্থানীয় দক্ষিণ সুখছড়ি শাহ্ সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর বাসিন্দাদের হাত ও মুখ রশি ও কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে কক্ষটিতে তাঁদের আটকে রাখে ডাকাত দল। একই সময়ে পাশের তিনটি বসতঘর থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি গরু ডাকাতি করে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক এ ঘটনা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে ১৬ জনকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখে ডাকাত দল। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে রাখা ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র দাশ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত দল
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বাড়ির বসতঘর থেকে কালাচ সাপের শতাধিক বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাজ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বসতঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে বসতঘরের পাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাচল করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি সেগুলো মেরে ফেলেন। সাপের বাচ্চা চলাচলে তাঁর সন্দেহ থাকায় আজ দুইটার দিকে একই গ্রামের সাপুড়ে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল এসে ঘরের এক কোনা থেকে শতাধিক কালাচ সাপের বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করেন। পরে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয় ও ডিমগুলো নষ্ট করা হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কালাচ সাপ সাধারণত কাঁচা ঘরবাড়িতে কিংবা লেপ-তোশকের মধ্যে থাকে। এই সাপ কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপ দেখলে প্রাণিসম্পদ অফিসে কিংবা তাঁদের খবর দিলে তা না মেরে ধরার পর বনে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।