বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে। বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চে রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে যায়। অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.

আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে শুনানির জন্য সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। 

চিম্ময়ের আইনজীবী অপূর্ব কুমার বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য সময় নিয়েছেন। এজন্য রুল শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তিনি বলেন, আমি বলেছি চিম্ময় দাস অসুস্থ। দ্রুত শুনানি করা দরকার। আর তদন্তের অগ্রগতি জানার জন্য জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। জামিন চেয়ে চিন্ময়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করা হয়।

২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।

২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র জন য ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রনায়িকা শাবানা হঠাৎ কেন দেশ ছেড়েছিলেন, এখন কেমন আছেন

শাবানার অভিনয়ের শুরুটা সেই ষাটের দশকের শুরুতে ‘নতুন সুর’ ছবিতে। এহতেশাম পরিচালিত সেই ছবিতে অভিনয় করেন শিশুশিল্পী হিসেবে। এরপর বছর পাঁচেক পর নায়িকা হিসেবে তাঁর অভিষেক হয় ‘চকোরী’ ছবিতে, যেটিতে তাঁর নায়ক ছিলেন নাদিম। একটানা কাজ করেছেন নব্বই দশকের শেষ সময় পর্যন্ত। চলচ্চিত্রে অভিনয় তাঁকে দেশ ও দেশের বাইরের বাঙালিদের মনের কোনো জায়গা করে দেয়। অভিনয়ের পাশাপাশি একসময় এই অভিনয়শিল্পী ছবি প্রযোজনাও করেন। তাঁর প্রযোজিত ছবি পায় সাফল্যও। এসএস প্রোডাকশনের সেসব ছবিতে দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশের অভিনয়শিল্পীরাও অভিনয় করেন। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে যখন তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছিলেন, আচমকা অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সরিয়ে নিয়ে দেশে বসে থাকেননি, পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর আর অভিনয়ে ফেরেননি।

দেশান্তরি হওয়ার হিসাবে ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী শাবানা। অভিনয়জীবনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তিনি হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২৫ বছর ধরে স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়ে নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে থাকছেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশে এলেও গত কয়েক বছরে আসা হয়নি।

শাবানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
  • পারভেজ হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা
  • হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তা
  • ৮০ টাকা বেতনে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি, এরপর যেভাবে বিশ্বখ্যাত নির্মাতা হয়ে ওঠেন সত্যজিৎ
  • ‘র‍্যানডম’ কাজটি হয়ে গেছে: মৌসুমী নাগ
  • আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা
  • তৃতীয় দিনটা বৃষ্টি আর নাজমুলের
  • চিত্রনায়িকা শাবানা হঠাৎ কেন দেশ ছেড়েছিলেন, এখন কেমন আছেন