নিজস্ব ভবনের একাংশ দখলের প্রতিবাদে আলোকচিত্রীদের সংগঠনের মানববন্ধন
Published: 23rd, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) নামের বরাদ্দ দেওয়া ভবনের একাংশ অবৈধভাবে দখল ও ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিজেএ বলেছে, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর আফরোজা হক ও তাঁর বহিরাগত সহযোগী নিজামী গং বিপিজেএ–এর নামে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া বাড়ির একাংশ জোরপূর্বক দখলে রেখে অবৈধভাবে ভাড়া দিচ্ছেন।’
অবৈধ দখল ও ভাড়া দেওয়া ছাড়াও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত ২০ এপ্রিল রাতের আঁধারে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বলেছে, এ নিয়ে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এতে সংগঠনের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বিপিজেএ–এর পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আহ্বান জানানো হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না এসি বোস ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান অরুণের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে এসব কর্মসূচি পালন করে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোয়ালমারী-মহম্মদপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্কুলের গেটে তালা দিয়ে সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সড়ক অবরোধের কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
খবর পেয়ে দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের দাবি ও অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজীবসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান অরুণ নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তিনি স্কুল প্রাঙ্গণের লাখ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। স্কুলের পুরাতন ভবন বিক্রি করে সে অর্থও নিজের পকেটে রেখেছেন। স্কুলের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব তিনি দেন না। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পুরাতন ভবন বিক্রি করার কারণে সাইন্সের ল্যাবের ক্লাস স্কুল মাঠে রোদে বসে করতে হয়। প্রধান শিক্ষক পদে তিনি যোগদান করার পরে স্কুলে এক টাকারও উন্নয়ন কাজ হয়নি। প্রতিদিন মাত্র দুইটা করে ক্লাস হয়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান অরুণ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবই ষড়যন্ত্র। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমার নিকট সব ডকুমেন্ট রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন বলেন, এর আগে ইউএনওর কাছে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল। একাডেমিক সুপারভাইজার সেটা তদন্ত করছেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেলকে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্লাসে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ শোনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।