কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা, ক্লাস বর্জন
Published: 23rd, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও এসেসমেন্ট বর্জনের পাশাপাশি দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। যা নগরীর জিরো পয়েন্টে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচিতে রূপ নেয়। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম ব্যাচের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
খুবি শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েটের ঘটনাবলী শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়। এটি দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও সম্মানজনক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদেরও দাবি। আমরা চাই শিক্ষাঙ্গনে হয়রানি, দমনপীড়ন ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অবসান হোক।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট জরুরি সভা ডেকে একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ২ মে হল ও ৪ মে ক্লাস চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, শিক্ষার্থীরা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ১৫ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। সর্বশেষে গত ২১ এপ্রিল কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ঢাকা/হাসিব/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু, চলছে আলোচনা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অনশনে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা ড. এম এ রশীদ হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে তোশক, বালিশ, বিছানার চাদর নিয়ে বসে পড়েন। আগে থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অনেক শিক্ষক অবস্থান করছিলেন। শিক্ষার্থীরা ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আসার পর শিক্ষকেরা আন্দোলনকারীদের কাছে যান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কেন উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফার চূড়ান্ত দাবিতে গেলেন, তা শিক্ষকদের ব্যাখ্যা করেন। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। বিকেল সোয়া চারটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনা চলছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে তোশক, বালিশ, বিছানার চাদর নিয়ে অনশনে বসেছেন। তাঁদের সামনে বসে আছেন শিক্ষকেরা