কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজে লাগিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই সিনেমার মতো উন্নত মানের ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম নতুন অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ক্লিং এআই। ‘ক্লিং ২.০ মাস্টার’ নামের অ্যাপটি কোনো দৃশ্যের বিস্তারিত বিবরণ লিখে দিলেই সে অনুযায়ী উচ্চ রেজল্যুশনের ভিডিও তৈরি করতে পারে। আর তাই উন্মুক্তের পরপরই প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে অ্যাপটি।

ক্লিং এআইয়ের তথ্যমতে, ক্লিং ২.

০ মাস্টার অ্যাপটি ভিডিওতে আবেগময় মুখাবয়ব, বাস্তবধর্মী শরীরী ভাষা এবং অভিনয়সুলভ ভঙ্গিমা তৈরি করতে পারে। এর ফলে কৃত্রিমভাবে তৈরি হলেও ভিডিওর মান হলিউড বা বলিউডের তৈরি সিনেমার মানের সঙ্গে তুলনীয়।

ক্লিং ২.০ মাস্টার অ্যাপটির মাধ্যমে ছবি থেকেও ভিডিও তৈরি করা যায়। এর ফলে সহজেই নির্দিষ্ট ছবি দিয়ে পুরো ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। আর তাই অ্যাপটি ভিডিও কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি সিনেমা, বিজ্ঞাপন, শিক্ষা, বিনোদন ও গেমিং খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে তৈরি ভিডিও খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন অনেকেই। ভিডিও নির্মাতাদের মতে, প্রযুক্তির এমন অগ্রগতি কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অ্যাপটির মাধ্যমে তৈরি ভিডিওর মান, চরিত্রের অভিব্যক্তি ও দৃশ্যায়নের সক্ষমতা দেখে অনেকেই ধারণা করছেন, এটি ভবিষ্যতে সিনেমা তৈরির প্রযুক্তি বদলে দিতে পারে।

সূত্র: নিউজ ১৮

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের ‌শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের ফটকের তালা খুলে কলেজে প্রবেশ করেন তারা। 

আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন

আরো পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলেছে হল

আন্দোলনে ফিরছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা, ঢাকায় আসছেন প্রতিনিধিরা

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াশ চন্দ্র দাস ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ওয়ার্ড ক্লাস সুবিধা ও হাসপাতাল চালুর দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। গত ২০ এপ্রিল সড়ক অবরোধ করেন তারা। গত ২১ এপ্রিল দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর আগ পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস সুবিধা দিতে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পদায়ন।শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় বাস সরবরাহ। দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে নতুন হাসপাতাল চালুতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ায় আশ্বস্ত হন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। দাবি যথাযথ প্রতিফলন না হলে ভবিষ্যতে আন্দলোনে নামার কথাও জানান তারা।

গত কয়েকদিন ধরেই পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ ও দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ