কক্সবাজারে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৬ রাজমিস্ত্রি উদ্ধার
Published: 23rd, April 2025 GMT
কক্সবাজারে কাজের সন্ধানে এসে নিখোঁজ হওয়া ছয় রাজমিস্ত্রিকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের রাজারছড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের বাসিন্দা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন, শহিদুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে আসেন। শহিদুল কৌশলে তাদেরকে টেকনাফে নিয়ে যান এবং একটি বাড়িতে আটকে রাখেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত ১৫ এপ্রিল ছয় রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে জকিগঞ্জ থেকে কক্সবাজারে যান। কিন্তু, তাদের কারো সঙ্গেই ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, নিখোঁজ রাজমিস্ত্রিদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর টেকনাফের রাজারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রাজমিস্ত্রিরা জানান, শহিদুল তাদেরকে কক্সবাজারে কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে এসে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল হত্যায় আরও একজন গ্রেপ্তার
ঢাকায় বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (পারভেজ) হত্যা মামলার আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বুধবার বিকেলে মেহেরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা সদরের শাহপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পুলিশ বলছে, ১৯ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহিদুল ও তাঁর বন্ধু তরিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। হামলায় গুরুতর আহত পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় জাহিদুলের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯), আল আমিন সানি (১৯) এবং মো. হৃদয় মিয়াজীকে (২৩)।