মির্জাপুরে লৌহজং নদীর পাড়ে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 23rd, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে তিনজন মাটি কারবারিকে মোট ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাসুদুর রহমান এ জরিমানা প্রদান করেন।
জরিমানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের জাকির হোসেন শিপন (৩৫) – ৪ লাখ টাকা, তারেকুল ইসলাম (২৬) – ১ লাখ টাকা এবং বাসাইল উপজেলার আরোহা গ্রামের সাত্তার মিয়া (৩৭) – ২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, জামুর্কী ইউনিয়নের ঋষিঘাট, গুনটিয়া ও বাদশার কুম এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তদের।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাসুদুর রহমান জানান, “বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এই জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”
অভিযান ও জরিমানার এ ঘটনায় স্থানীয়রা নদী ও পরিবেশ রক্ষায় এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের ফটকের তালা খুলে কলেজে প্রবেশ করেন তারা।
আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন
আরো পড়ুন:
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলেছে হল
আন্দোলনে ফিরছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা, ঢাকায় আসছেন প্রতিনিধিরা
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াশ চন্দ্র দাস ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশি।
শিক্ষার্থীরা জানান, ওয়ার্ড ক্লাস সুবিধা ও হাসপাতাল চালুর দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। গত ২০ এপ্রিল সড়ক অবরোধ করেন তারা। গত ২১ এপ্রিল দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর আগ পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস সুবিধা দিতে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পদায়ন।শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় বাস সরবরাহ। দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে নতুন হাসপাতাল চালুতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ায় আশ্বস্ত হন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। দাবি যথাযথ প্রতিফলন না হলে ভবিষ্যতে আন্দলোনে নামার কথাও জানান তারা।
গত কয়েকদিন ধরেই পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ ও দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ