কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন
Published: 23rd, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশনে বসেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, "কুয়েটের ভিসি পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ইনস্টিটিউটের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ বলেন, "কুয়েটের ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, "আমাদের একযোগে অনশনে বসা কুয়েট ভিসির জন্য একটা ম্যাসেজ। অধিকাংশ শিক্ষার্থী নয়, সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত কুয়েটের ভিসি পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।"
ঢাকা/ফাহিম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়ক অবরোধ করে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃতদের মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধঘণ্টা পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ অবরোধ শেষ হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাফকাত বলেন, “আজ সাতদিন হয়ে গেলেও অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের পাহাড় কিংবা সমতলে কোথাও এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। অপহৃতদের মুক্তির বিষয়ে সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমরা দ্রুত অক্ষত অবস্থায় তাদের মুক্তি চাই।”
আরো পড়ুন:
অনশনে অসুস্থ চবির ২ শিক্ষার্থী
চবিতে ২৪ ঘণ্টায়ও অনশন ভাঙেননি চারুকলার শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুইসাং খুমি বলেন, “আমাদের অপহৃত ভাই-বোনদের দ্রুত মুক্তি চাই। পাশাপাশি অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, “এতদিনেও আমাদের চবি শিক্ষার্থীদের এখনো মুক্তি মেলেনি। যৌথবাহিনী এখনো তাদের কোনো সন্ধানই দিতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। আমরা অতি শিগগির আমাদের ভাই-বোনদের মুক্তি চাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে (রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান) পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেব।”
এর আগে, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী