মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার চার্জ গঠন, ২৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য
Published: 23rd, April 2025 GMT
মাগুরার আলোচিত আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার্জ গঠন এবং আগামী ২৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত বিশেষ প্রসিকিউটর এহসান উল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন। তারা বাদীপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন।
তবে, আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক আসামি হিটু শেখ, তার দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখ এবং স্ত্রী জাহেদা বেগমের নিকট এই মামলায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগে যথাযথ বিধি অনুসরণের পরামর্শ দেন। শুনানি শেষে আদালত ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরের আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন
আ.
এর আগে, সকালে বিশেষে নিরাপত্তায় আসামিদের আদালত চত্বরে আনা হয়। এসময় আদালত চত্বরে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত এবং প্রবেশদ্বারে বিশেষ নিরাপত্তা বসানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যার ৩২ বছর পর রায়, ১ জনের যাবজ্জীবন
জামালপুর সদরের মেষ্টাতে মোজাম্মেল হক হত্যা মামলার ৩২ বছর পর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. হাফিজুর রহমান সরিষাবাড়ি উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের ছেলে। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী থানার গোবিন্দ নগর (বয়রা) গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আজাদ, পাখাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে রব্বানী, জসীম উদ্দিনের ছেলে ওমর আলী ও জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মরহুম মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. শওকত আলী।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পি.পি আইনজীবী এ.কে.এম নাজমুল হুদা জানান, প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ও নিহত মোজাম্মেল হক বাল্য বন্ধু ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ২৩মে বিকালে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে মোজাম্মেল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান হাফিজুর রহমান। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি মোজাম্মেল হক। পরদিন ২৪মে মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তার উপর মোজাম্মেল হকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর দাফন করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৮মে নিহত মোজাম্মেল হকের বড় ভাই শাহজাহান ছবি দেখে তার ভাইকে শনাক্ত করেন। পরে জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার দীর্ঘ তদন্তের পর ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৩২ বছর পর এই রায় দেন আদালত। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ফজলুল হক।
ঢাকা/শোভন/এস